Ajker Patrika

রমজানজুড়ে অনলাইন-অফলাইনে ঈদের সব কেনাকাটাই বিকাশ পেমেন্টে সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৫, ০০: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বছর কয়েক আগে পরিবারের সবার কেনাকাটা করতে গিয়ে টাকা হারিয়ে ফেলার স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেননি তানভীর। তাই, ঈদ এলেই সব তিনি এখন কোনো ক্যাশ টাকা বহন না করেই সম্পূর্ণ কেনাকাটা করেন। “এখন আমি আর রিস্ক নিই না। বিকাশ ওয়ালেট থেকেই সব কেনাকাটা করি, টাকা না থাকলে রয়েছে অ্যাড মানি সুবিধা।”

বিকাশ-এ ডিজিটাল লেনদেন এখন আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সহজ। স্ক্যান করে সহজে পেমেন্ট করা যায়, টাকা শেষ হয়ে গেলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাড মানি করা যায়, কিংবা অ্যাপ থেকে সরাসরি ব্যাংকের কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা যায়। এমনকি বাজেট শেষ হয়ে গেলেও বিকাশ-এর পে-লেটার সেবা ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে পারছেন গ্রাহকেরা।

ডিজিটাল লেনদেনের এই সুবিধা গ্রাহককে ডিজিটাল পেমেন্টে অভ্যস্ত করে তুলছে। সঙ্গে কেনাকাটায় সারা বছর কিছু না কিছু অফার তো থাকছেই। এমনই একজন তানহা। তিনি খোঁজখবর রাখেন বিকাশ-এ কেনাকাটায় কোথায় কী সুবিধা।

“রমজানের মাঝামাঝি থেকেই কেনাকাটা শুরু করব। কেনাকাটার মাধ্যম বরাবরের মতোই ডিজিটাল পেমেন্ট। জামা, জুতা, ফেসবুক পেজে কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টের অফারগুলো ব্যবহার করব। এ ক্ষেত্রে একটা বড় সুবিধা হলো কোথায় কী খরচ হচ্ছে, তার হিসাব রাখা সহজ হবে।”, বলছিলেন তানহা।

রমজানজুড়ে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার: পাড়ার মুদিদোকানে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা থেকে শুরু করে বাস-ট্রেন-প্লেনের টিকিট কাটা—সবই স্বাচ্ছন্দ্যে করা যায় বিকাশ পেমেন্টে। রমজান মাসজুড়ে সুপারস্টোর, অনলাইন শপ, ফেসবুক পেজ, বিভিন্ন ব্র্যান্ড শপ, ফ্যাশন হাউস, জুতার দোকান, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন আউটলেটে বিকাশ পেমেন্টে রমজান ও ঈদের কেনাকাটায় মিলছে বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। এই রমজানে একজন গ্রাহক বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটায় সর্বোচ্চ ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক পেতে পারেন।

বিস্তৃত মার্চেন্ট নেটওয়ার্ক: দেশজুড়ে বিকাশ-এর রয়েছে প্রায় ১০ লাখ মার্চেন্টের এক বিশাল নেটওয়ার্ক। বর্তমানে বিকাশ-এর প্রায় ৮ কোটি গ্রাহক দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এসব ছোট-বড় মার্চেন্টে কিউআর কোড স্ক্যান করে, পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে এবং *247# ডায়াল করে দ্রুত, সহজে এবং নিরাপদে পেমেন্ট করে দরকারি কেনাকাটা করতে পারছেন।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড থেকে অ্যাড মানি করে কেনাকাটা: কোথাও কেনাকাটা করতে গিয়ে বা জরুরি কোনো প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে দেখা গেল, বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই। আবার যেখানে কেনাকাটা করতে ইচ্ছুক, সেখানে কার্ড পেমেন্টের সুযোগ নেই। এ রকম মুহূর্তে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড থেকে ইনস্ট্যান্ট বিকাশ-এ টাকা এনে জরুরি প্রয়োজন মেটানো বা দরকারি কেনাকাটা করে ফেলা যায়। বর্তমানে বিকাশ গ্রাহকেরা ৪৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ভিসা, অ্যামেক্স ও মাস্টারকার্ড থেকে যখন প্রয়োজন, তখনই অ্যাড মানি করতে পারছেন।

বিকাশ অ্যাপ থেকে ভিসা কার্ড দিয়ে সরাসরি পেমেন্ট: এদিকে বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলে ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত এবং বিকাশ অ্যাপে সংযুক্ত ভিসা কার্ড থেকে সরাসরি বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছেন বিকাশ গ্রাহকেরা। ডিজিটাল পেমেন্টকে আরও সর্বজনীন, ঝামেলাহীন ও নিরাপদ করতে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে বিকাশ অ্যাপে। অনেক দোকানে বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কাছে ব্যয়বহুল পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন না থাকায় ইচ্ছা থাকলেও অনেক গ্রাহক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট দিতে পারেন না। তবে এই ধরনের ছোট দোকান থেকে শুরু করে সুপারশপ, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে বিকাশের কিউআর কোড স্ক্যান করে গ্রাহকেরা খুব সহজে তাদের বিকাশ অ্যাপে সংযুক্ত ভিসা কার্ড থেকে সরাসরি পেমেন্ট করে দিতে পারেন। অ্যাপ থেকে সরাসরি ভিসা কার্ড দিয়ে বিকাশ পেমেন্ট করার এই সুবিধা গ্রাহককে ডিজিটাল লেনদেনে দিন দিন আরও সক্ষম করে তুলছে।

পে-লেটার দিয়ে কেনাকাটা: জরুরি প্রয়োজনে কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে প্রথমবারের মতো যৌথভাবে ‘পে-লেটার’ নামের বিশেষ জামানতবিহীন ঋণসেবা চালু করেছে বিকাশ ও সিটি ব্যাংক। এ সেবার মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলেও গ্রাহক প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে বিকাশ অ্যাপ থেকেই তাৎক্ষণিক সিটি ব্যাংকের এই বিশেষ ঋণ নিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। সাত দিনের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করা যায় কোনো ইন্টারেস্ট ছাড়াই। আবার গ্রাহক চাইলে ০৩ বা ০৬ মাসের কিস্তিতেও পরিশোধ করতে পারছেন এই ঋণ। পে-লেটারের জন্য বিবেচ্য গ্রাহক ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণসীমা পেতে পারেন। বিকাশ অ্যাপের পেমেন্ট অপশন থেকে অথবা লোন অপশন থেকেও পে-লেটার ফিচার ব্যবহার করতে পারছেন গ্রাহকেরা।

কেনাকাটার হিসাব দেখে নেওয়া যায় বিকাশ স্টেটমেন্ট থেকে: কেনাকাটা করতে করতে অনেক সময় আমাদের খেয়াল থাকে না, কত কিছু কিনে ফেলেছি! এ ক্ষেত্রে বিকাশ পেমেন্টে কেনাকাটার বড় সুবিধা হচ্ছে, অ্যাপের স্টেটমেন্ট অপশন থেকে যেকোনো সময় দেখা নেওয়া যায়, কোন খাতে কত খরচ হলো। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক খরচের হিসাব রাখতে পারলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

বিকাশ-এর হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, “দৈনন্দিন ব্যস্ততায় মূল্যবান সময় বাঁচাতে গ্রাহকেরা ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। এই আচরণগত পরিবর্তনের মূলে রয়েছে ডিজিটাল লেনদেনের প্রতি মানুষের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিকাশও তাই উৎসব-পার্বণের সময় সুপারস্টোর, ব্র্যান্ড শপ, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্টসহ নানা অফার দিয়ে থাকে। পাশাপাশি, ডিজিটাল পেমেন্টের প্রকৃত সুবিধা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে বিকাশ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইউটিলিটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, টেলিকম অপারেটর, সরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিওসহ নানা ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দেশে একটি ডিজিটাল লেনদেনের ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।”

পবিত্র রমজান মাসজুড়ে এবং ঈদ সামনে রেখে বিকাশ পেমেন্টে ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো দেখে নেওয়া যাবে বিকাশ-এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ বা এই ওয়েব লিংকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় নেই, দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে তামিম

অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ‘বিশেষ বৈঠক’, ব্যাখ্যা চাইল সদর দপ্তর

অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, পালানোকালে আটক ৫ পুলিশ সদস্য

নতুন বাহিনীর প্রস্তাবে অসন্তোষ বেবিচকে

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের বিরুদ্ধে ৪৭ ব্রিটিশ এমপিকে ‘সন্দেহজনক’ ই–মেইল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত