স্বামীর পাঠানো রেমিটেন্সে দুই সন্তান আর শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে এখন খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই দিন পার করছেন কুমিল্লার পাচথুবি ইউনিয়নের রোজিনা ইয়াসমিন। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে কাজ করছেন তাঁর স্বামী। প্রতি মাসের শুরুতেই টাকা পাঠিয়ে দেন তিনি, আর সেই টাকা ঘরে বসেই পেয়ে যান হাতের মুঠোয় থাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
তিনি বলেন, ‘তিন বছর আগে বিদেশ যায় সে (স্বামী)। প্রথম প্রথম টাকা পাওয়ার কোনো ঠিক ছিল না। ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিতে হতো, কিন্তু ব্যাংকও সেই গঞ্জের মোড়ে। অটোরিকশা বা ভ্যানে চড়ে কয়েক মাইল যাওয়া লাগত। বর্ষা-কাদার সময় তো আরও ঝামেলা। না পেরে সব টাকা তুলে নিয়ে বাড়িতেই রাখতাম। বছরখানেক পর বিকাশ-এ টাকা পাঠানো শুরু করল। এখন সেকেন্ডের মধ্যে টাকা চলে আসে, আর মোবাইলে টুং করে ম্যাসেজ আসে। আর যখন প্রয়োজন হয়, তখন বাড়ির পাশে কলিম চাচার দোকান থেকেই টাকা তুলে আনতে পারি।’
রোজিনার মতো দেশে থাকা প্রিয়জনদের কাছে বৈধ পথে সহজে, তাৎক্ষণিক ও নিরাপদে রেমিটেন্স পাঠাতে পারায় প্রবাসীদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে বিকাশ-এর রেমিটেন্স সেবা। দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত প্রবাসীদের কষ্টার্জিত এই রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহকে গতিশীল করে রিজার্ভকে শক্তিশালী করছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এত দিন স্বজনদের কাছে বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠাতে নানা ধরনের ঝামেলায় পড়তে হতো প্রবাসীদের। এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতেই ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, রিয়া, ওয়ার্ল্ড রেমিট, রেমিটলি, ওয়াইজ, ট্যাপট্যাপ সেন্ড, ট্রান্সফাস্টসহ ১১০টির বেশি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও) এবং দেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সঙ্গে নিয়ে প্রবাসীদের জন্য রেমিটেন্স পাঠানোর একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে বিকাশ। ফলে, নিজের সময়, সুবিধা ও প্রয়োজনমতো দেশে থাকা প্রিয়জনের হাতে রেমিটেন্স পাঠানোর সক্ষমতা ও স্বাধীনতা পেলেন প্রবাসীরা।
এদিকে, রেমিটেন্সের অর্থ এখন আরও কম খরচে ক্যাশ আউটের সুযোগ নিতে পারছেন দেশে থাকা প্রবাসীর প্রিয়জন। দেশজুড়ে ১৯টি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রায় ২ হাজার ৫০০ এটিএম বুথ থেকে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বা *২৪৭# ডায়াল করে প্রতি হাজারে মাত্র সাত ৭ টাকা চার্জে ক্যাশ আউট করতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনেরা। পাশাপাশি বিকাশ-এর এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করা এখন আরও সাশ্রয়ী। কারণ, দুটি প্রিয় এজেন্ট থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাজারে ১৪.৯০ টাকা খরচে ক্যাশআউট করতে পারছেন গ্রাহকেরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার এজেন্ট পয়েন্টে এই সুবিধা নিতে পারছেন তাঁরা।
আবার ক্যাশআউট না করেও প্রবাসীর স্বজনেরা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবার পেমেন্ট, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন ও ফি পরিশোধ, বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার ফি দেওয়া, অনুদান প্রদান, সেভিংস খোলা, এনজিওর ঋণের কিস্তি প্রদানসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।
বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় অফার নিয়ে আসে বিকাশ। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর ‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড’-এর মাধ্যমে পাঠানো সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিটেন্স সরাসরি বিকাশ অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করে তিনজন প্রবাসীর স্বজন পেতে পারেন মোটরবাইক ও ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্স কুপন। পাশাপাশি, প্রতি সপ্তাহেই আরও তিনজন করে পাচ্ছেন ১৫, ১০ ও ৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস কুপন। অফারটি চলবে ২৮ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিকাশ-এ রেমিটেন্স পাঠানো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে: ।