ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন–বোনাস পরিশোধ করেছে মালিকপক্ষ। বাকি কারখানাগুলোও যাতে ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে, তা নজরদারির মধ্যে রেখেছে শিল্প পুলিশ। এ ছাড়া ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) শতভাগ কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার শিল্প পুলিশ–১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ঢাকা ইপিজেডে ৯০টিসহ সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই অঞ্চলে মোট ৫৫৯টি পোশাক কারখানা রয়েছে। ইপিজেডের বাইরে বিজিএমইএ অন্তর্ভুক্ত কারখানার সংখ্যা ৪০১টি এবং বিকেএমইএ অন্তর্ভুক্ত কারখানার সংখ্যা ৬৮টি।
এর মধ্যে ইপিজেডের সব পোশাক কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে। বিজেএমইএর অন্তর্ভুক্ত ৩৩৫টি ও বিকেএমইএর অন্তর্ভুক্ত ৫০টি কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ ইপিজেডসহ মোট ৪৭৫টি কারখানার শ্রমিক বোনাস বুঝে পেয়েছেন। শতকরা হিসেবে যা দাঁড়ায় প্রায় ৮৪ শতাংশ (৮৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ)।
পোশাক কারখানা ছাড়াও এই অঞ্চলে ছোটবড় মিলিয়ে আরও প্রায় ১ হাজার ২০০টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ওষুধ, সিরামিক, খাদ্যজাত পণ্য, চামড়া, ইলেকট্রনিকসসহ নানা ধরনের কারখানা, যার ৯০ শতাংশই ইতিমধ্যে বোনাসসহ ঈদের ছুটি দিয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ৮৪ শতাংশ পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য ৯০ শতাংশ কারখানা আজ বেতন–বোনাস পরিশোধ করে ছুটি দিয়েছে। বাকিগুলোর পর্যায়ক্রমে শুক্র ও শনিবার ছুটি হবে। এর আগে ২৫ মার্চ বেশ কিছু কারখানা ছুটি দিয়েছিল। আমরা নজরদারি রেখেছি, কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা এখনো ঘটেনি।’