সারা দিন পর ঘরে ফিরে যদি দেখেন ঘরটা অগোছালো ও এলোমেলো, তাহলে কি ভালো লাগবে, বলুন? কিংবা সারা দিন বাসায় আছেন অথচ ঘরের ভেতরটা ভাপসা হয়ে আছে—এই অবস্থাও আপনাকে প্রশান্তি দেবে না। তাই তো ঘরের ভেতরটা থাকা চাই গোছানো ও সুন্দর। ঘরের মাঝে প্রাণ ফেরাতে, অর্থাৎ ঘরকে প্রাণবন্ত রাখতে গাছের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে আরও কিছু অনুষঙ্গ যোগ করে ঘরের চেহারা বদলে ফেলা যায়।
একটুখানি সবুজ
ঘরের ভেতর প্রাণ ফেরাতে পছন্দের কিছু গাছ লাগাতে পারেন। যে গাছগুলো ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করে, সেগুলো ঘর রাখবে বিষমুক্ত। ঘরের ভেতর এরিকা পাম, স্নেক প্ল্যান্ট, ব্যাম্বো প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন গাছ লাগাতে পারেন। তবে এলোকেশিয়া, মন্সটেরা, মানিপ্ল্যান্ট এই গাছগুলো ইনডোর প্ল্যান্ট হলেও সেগুলো বারান্দার যেখানে সরাসরি আলো পড়ে না, সেখানে লাগানো ভালো। বারান্দায় পছন্দের ফুল গাছ, যেমন অপরাজিতা, নয়নতারা, জিনিয়া, অর্কিড, গোলাপ, পুর্তলিকা ইত্যাদিও লাগাতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা অফিস থেকে ফিরে ফুটন্ত ফুল দেখলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
ঘরে চাই হালকা রং
আপনি যে ঘরে থাকেন, সেই ঘরের দেয়ালে হালকা রং ব্যবহার করুন। অনেকেই না বুঝে ঘরের ভেতর অতি উজ্জ্বল রং লাগিয়ে থাকেন। হলুদ কিংবা লাল এই রংগুলো শোয়ার ঘরের জন্য সঠিক রং নয়। বিভিন্ন রঙের মনস্তাত্ত্বিক দিক ভিন্ন ভিন্ন হয়। শোয়ার ঘরে সতেজ ভাব আনতে হালকা নীল, সাদা কিংবা হালকা গোলাপি রং ব্যবহার করুন। তা ছাড়া ঘরের দেয়ালে যদি হালকা রং করা হয়, সেখানে অপেক্ষাকৃত অল্প আলোর বাল্ব জ্বালালেও চলে।
ঘরে প্রাকৃতিক আলো
ঘরে প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এ জন্য সারাক্ষণ দরজা-জানালা বন্ধ না রেখে নির্দিষ্ট সময়ে খোলা রাখুন। সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করলে ঘর জীবাণুমুক্ত থাকবে। ঘরের মাঝে থাকা স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর হবে। ঘরে হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।
সফলতার ছবিগুলো
হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে বসার ঘরের দেয়ালে আপনার সফলতার ছবি, গ্র্যাজুয়েশনের সময়ে তোলা আনন্দঘন ছবিগুলো রাখতে পারেন। শিক্ষাজীবনে পাওয়া ক্রেস্ট, মেডেলও শোকেসে রেখে দিতে পারেন। যখন আপনি এ ছবিগুলো দেখবেন, আপনার ভালো লাগা কাজ করবে। সফলতার ছবিগুলো আপনাকে নতুন কাজের অনুপ্রেরণা দেবে।