সৌগত বসু, ঢাকা
দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সভায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃত্ব নেন বিএনপিপন্থী পরিবহন নেতারা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হয়েছেন এম এ বাতেন। সাইফুল আলম নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির। তবে শ্রম অধিদপ্তর সাইফুল আলমের কমিটির নিবন্ধনের আবেদন এবং কমিটি গঠনের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দিয়েছে।
পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, শ্রম আইনের দুটি ধারার ব্যত্যয় ঘটিয়ে এবং শ্রম অধিদপ্তরকে অবহিত না করে সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন কমিটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। সাইফুল আলম কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন বলেন, ‘আমাদের সমিতির গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সাত দিন আগে শ্রম অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল, আমরা যেন তলবি সভা ডাকার আগে শ্রম অধিদপ্তরকে জানাই। যেহেতু আমাদের গঠনতন্ত্রে বিষয়টি নেই, তাই আমরা শ্রম অধিদপ্তরকে জানাইনি। শ্রম অধিদপ্তর চিঠি দিয়ে আমাদের সেই আপত্তির কথা জানানোর পর এখন সব বিধি মোতাবেক আবার তলবি সভা আহ্বান করছি।’
ঢাকা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক আফিফা বেগমের ৩০ সেপ্টেম্বরের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর মো. সাইফুল আলম নিজেকে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে শ্রম দপ্তরে একটি কার্যবিবরণীপত্র দাখিল করেন। এতে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আরেকটি চিঠিতে ফয়জুল ইউসুফ চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে উল্লেখ করে বাসমালিকদের সমিতির একটি নির্বাচনী ফলাফল দাখিল করা হয়। এই নির্বাচনী কার্যক্রমে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে মর্মে ফলাফল বাতিল করে দেওয়া হয়।
সূত্র বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করতেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, ওসমান আলীর মতো নেতারা। পটপরিবর্তনের পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। মালিক সমিতি বিএনপিপন্থী পরিবহন নেতাদের কাছে যাওয়ার পর ২৫ আগস্ট সাইফুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে সামনের সারিতে ছিলেন এম এ বাতেন, রফিকুল ইসলাম কাজল, এ এস এম আহমেদ খোকন, কাজী জোবায়ের মাসুদ প্রমুখ।
বিকাশ পরিবহন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম সৌরভ হোসেন গত ১১ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মালিক সমিতির এ কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন। সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে তাঁর ওপর হামলা করা হয়।
শ্রম অধিদপ্তরের ওই চিঠির বিষয়ে জানতে সাইফুল আলমকে মোবাইলে ফোন করা হলে সাড়া দেননি। তবে সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী জোবায়ের মাসুদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল, কোনো কমিটি গঠনের সময় শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা যেন থাকেন। কিন্তু তাঁদের গঠনতন্ত্রে এমন কিছু নেই, তাই শ্রম অধিদপ্তরের কাউকে ডাকেননি। তা ভুল ছিল। এটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির একটি অংশ। ওই সমিতির অনুমোদন নিয়েই আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও পরে নির্বাচন করা হয়। শ্রম অধিদপ্তর এ ক্ষেত্রে শ্রম আইন ও শ্রমিক নিবন্ধনের ধারা লঙ্ঘনের বিষয়টি জানানোয় ৩০ নভেম্বর সব নিয়মকানুন মেনে আবার নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও নেতারা অংশ নিয়েছেন ডিটিসিএ এবং বিআরটিএ আয়োজিত সভায়। জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি বিষয়টি গতকালই জেনেছেন। এখন তারা (ডিটিসিএ) যেভাবে কাজ করবে, সেখানে তাদের (সমিতি) বিষয়ে থাকতে হবে, এমন নয়।
দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সভায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃত্ব নেন বিএনপিপন্থী পরিবহন নেতারা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হয়েছেন এম এ বাতেন। সাইফুল আলম নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির। তবে শ্রম অধিদপ্তর সাইফুল আলমের কমিটির নিবন্ধনের আবেদন এবং কমিটি গঠনের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দিয়েছে।
পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, শ্রম আইনের দুটি ধারার ব্যত্যয় ঘটিয়ে এবং শ্রম অধিদপ্তরকে অবহিত না করে সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন কমিটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। সাইফুল আলম কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেন বলেন, ‘আমাদের সমিতির গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনের সাত দিন আগে শ্রম অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল, আমরা যেন তলবি সভা ডাকার আগে শ্রম অধিদপ্তরকে জানাই। যেহেতু আমাদের গঠনতন্ত্রে বিষয়টি নেই, তাই আমরা শ্রম অধিদপ্তরকে জানাইনি। শ্রম অধিদপ্তর চিঠি দিয়ে আমাদের সেই আপত্তির কথা জানানোর পর এখন সব বিধি মোতাবেক আবার তলবি সভা আহ্বান করছি।’
ঢাকা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক আফিফা বেগমের ৩০ সেপ্টেম্বরের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর মো. সাইফুল আলম নিজেকে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে শ্রম দপ্তরে একটি কার্যবিবরণীপত্র দাখিল করেন। এতে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আরেকটি চিঠিতে ফয়জুল ইউসুফ চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে উল্লেখ করে বাসমালিকদের সমিতির একটি নির্বাচনী ফলাফল দাখিল করা হয়। এই নির্বাচনী কার্যক্রমে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে মর্মে ফলাফল বাতিল করে দেওয়া হয়।
সূত্র বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করতেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, ওসমান আলীর মতো নেতারা। পটপরিবর্তনের পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। মালিক সমিতি বিএনপিপন্থী পরিবহন নেতাদের কাছে যাওয়ার পর ২৫ আগস্ট সাইফুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে সামনের সারিতে ছিলেন এম এ বাতেন, রফিকুল ইসলাম কাজল, এ এস এম আহমেদ খোকন, কাজী জোবায়ের মাসুদ প্রমুখ।
বিকাশ পরিবহন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম সৌরভ হোসেন গত ১১ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মালিক সমিতির এ কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন। সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে তাঁর ওপর হামলা করা হয়।
শ্রম অধিদপ্তরের ওই চিঠির বিষয়ে জানতে সাইফুল আলমকে মোবাইলে ফোন করা হলে সাড়া দেননি। তবে সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী জোবায়ের মাসুদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল, কোনো কমিটি গঠনের সময় শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা যেন থাকেন। কিন্তু তাঁদের গঠনতন্ত্রে এমন কিছু নেই, তাই শ্রম অধিদপ্তরের কাউকে ডাকেননি। তা ভুল ছিল। এটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির একটি অংশ। ওই সমিতির অনুমোদন নিয়েই আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও পরে নির্বাচন করা হয়। শ্রম অধিদপ্তর এ ক্ষেত্রে শ্রম আইন ও শ্রমিক নিবন্ধনের ধারা লঙ্ঘনের বিষয়টি জানানোয় ৩০ নভেম্বর সব নিয়মকানুন মেনে আবার নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও নেতারা অংশ নিয়েছেন ডিটিসিএ এবং বিআরটিএ আয়োজিত সভায়। জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি বিষয়টি গতকালই জেনেছেন। এখন তারা (ডিটিসিএ) যেভাবে কাজ করবে, সেখানে তাদের (সমিতি) বিষয়ে থাকতে হবে, এমন নয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
১ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
১ দিন আগেপ্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৩ দিন আগে