জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসন। এর মধ্যে কানাইঘাটে বিএনপি-জামায়াত ইসলামী ও কওমিপন্থীদের আধিপত্য আর জকিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও আলিয়া-ফুলতলীপন্থীদের দাপট রয়েছে। আসনটিতে এবারের নির্বাচনের প্রয়াত আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী (রহ.) পীরের ছোট ছেলে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী (কেটলি প্রতীক) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দলটির সিলেট মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে (ট্রাক প্রতীক) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির। তিনজনই নির্বাচনী মাঠে হেভিওয়েট প্রার্থী। আলোচনায় ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. শাব্বির আহমদ। আবার এই ৪ প্রার্থীই জকিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। এ কারণে কানাইঘাটের চেয়ে নির্বাচনী উত্তাপ বেশি জকিগঞ্জে।
এর আগে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদও সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন বরাবর একই রকম লিখিত অভিযোগ করেন। তবে পরদিন গতকাল মাসুক উদ্দিনের ছেলে ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তানিম আহমদ লিখিতভাবে অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন।
মঙ্গলবার একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবিরও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে অভিযোগ করেন। ৮ দফার অভিযোগে হুছামুদ্দিন চৌধুরীকে পাস করিয়ে দিতে নির্বাচনী এলাকায় ধারাবাহিক একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোক দিয়ে ভয়ভীতি, কুৎসা রটনা, মিথ্যা খবর, নেতা-কর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে কেটলি প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, ‘দেখেন আমি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। কে আমাকে সাহায্য করছে, না করছে এগুলো আমি বুঝছি না। সাহায্যেরও পর্যায় আছে। সেটা নাকচও করছি না। কারও ওপর ভরসাও করছি না।’ সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের মোবাইলে কল করলে রিসিভ করে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মেরিনা দেবনাথ জানান, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা জরুরি মিটিংয়ে আছেন।’
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম বলেন, ‘এটা প্রার্থীদের নিজস্ব ব্যাপার। তাঁরা যদি মনে করেন, পরিবেশ নাই, তাহলে বলতেই পারেন। এটা তাঁদের স্বাধীনতা। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছি। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছি।’