বাগেরহাট পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধ আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে অতিষ্ঠ সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মাঝিডাঙ্গা এলাকার হাজারো বাসিন্দা। খোলা জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে ফেলা এসব ময়লা-আবর্জনা পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ২০১৯ সালের ২৩ জুন ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট পৌরসভার আবর্জনা অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং প্লেস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। তৎকালীন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস এই প্লেসের ফলক উন্মোচন করেছিলেন। সাড়ে তিন বছরে ভূমি অধিগ্রহণ ছাড়া দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি এই ডাম্পিং প্লেসের। খোলা স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, খুব শিগগির এখানে পরিবেশবান্ধব গার্বেজ সেন্টারের কাজ শুরু হবে। তখন এই সমস্যা থাকবে না।
গত মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার মুনিগঞ্জ পোলঘাট সড়কের পাশে মাঝিডাঙ্গা এলাকায় বিশাল এলাকাজুড়ে ময়লার স্তূপ। বিভিন্ন ধরনের পলিথিন, কাগজ, খাবারের উচ্ছিষ্ট, প্লাস্টিক পণ্যসহ নানা ধরনের ময়লা। ময়লার স্তূপের ওপর কুকুর, কাক ও বিভিন্ন ধরনের পাখি খাবার খাচ্ছে।
মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক পথচারী বলেন, প্রতিদিন সকাল-বিকেল কাজের জন্য এই পথ দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এত উৎকট দুর্গন্ধ যে নাক বন্ধ করে যেতে হয়।
খুবই কষ্ট হয়। শেলী বেগম নামের এক নারী বলেন, গন্ধে দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। তাতেও গন্ধ যায় না। খুবই অসহায় লাগে তখন। মনে হয় ঘরবাড়ি বিক্রি করে অন্য কোথাও চলে যাই। স্থানীয় একটি চালকলের শ্রমিক নাহার বেগম বলেন, ‘ময়লা ফেলার স্থানের চারদিকে অন্তত আধা কিলোমিটারজুড়ে গন্ধ আসে।
বাগেরহাট পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পৌরসভার বর্জ্যে যাতে গন্ধ না আসে, সে জন্য নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়। সময় সময় আগুনও ধরানো হয়, যাতে অতিরিক্ত গন্ধ তৈরি না হয়। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট চালু হলে এসব সমস্যা থাকবে না।