‘বায়ার্ন অত্যন্ত বিপজ্জনক দল। তারা সেরাটা দিয়েছে, আমরা দিইনি। আগামী বুধবারের জন্য আমাদের সময় আছে উন্নতি করার’—গত সপ্তাহে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে মিউনিখ সফরে ড্রয়ের পর এভাবেই শিষ্যদের কাছে পরের ম্যাচের জন্য সেরাটা চেয়েছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। সেই বুধবার চলেই এল। আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বায়ার্নকে আতিথেয়তা দেবে রিয়াল মাদ্রিদ। তার আগে এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের কতটুকু ঝালিয়ে নিতে পেরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা?
একটি ব্যবধান তো গড়েছেই। এ সপ্তাহের শুরুতে লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে রিয়াল। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬তম লিগ জিতে ছুঁয়ে ফেলেছে জুভেন্টাসকে। শিরোপা জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ইউরোপিয়ান ক্লাসিকোর লড়াইয়ে নামবে আনচেলত্তির দল। বায়ার্ন কি পারবে মাদ্রিদবাসীর আনন্দ মাটি করে দিতে? সেটি না হলে ১১ মৌসুম পর পুরোপুরি খালি হাতে মৌসুম শেষ করতে হবে বাভারিয়ানদের।
বুন্দেসলিগা আগেই হাতছাড়া হয়েছে। এবার ফিরতি লেগে হারলে ২০১৯-২০ মৌসুমের পর আরেকবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভাঙবে টমাস টুখেলের শিষ্যদের। আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় নিজের শেষ মৌসুম কি এভাবেই শেষ হবে জার্মান কোচের? সেই প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে ভবিষ্যতে। তবে বায়ার্নকে ছয় বছর বার্নাব্যুতে খেলতে নামতে হচ্ছে ভগ্নহৃদয়ে। লিগে স্টুটগার্টের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এটি তাদের প্রথম ম্যাচ। আর শিরোপা জয়ের পর প্রথম ম্যাচ রিয়ালের।