দেশের বেশির ভাগ শহরে বর্জ্য সংগ্রহের দক্ষতা ৫০ শতাংশেরও কম। পচনশীল বর্জ্য শহুরে জীবনযাত্রাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তুলেছে। কঠিন বর্জ্যের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে বস্তি এলাকায় পড়ে থাকা বর্জ্যের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্বিষহ ভোগান্তির সম্মুখীন হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত ফোর আর রোডম্যাপ উপস্থাপন শীর্ষক সভায় আলোচকেরা এসব তথ্য তুলে ধরেন। দূষণমুক্ত ঢাকা নগরী গড়তে ইউএসএইড-এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) কনসোর্টিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বর্জ্য ডেটাবেসে করা অনুমান অনুসারে, ২০২৫ সালে ৪৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে তবে ২০৩০ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে কঠিন বর্জ্য উৎপাদন যথাক্রমে ৫৭ হাজার এবং ৭৭ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। ডিএসকে’র নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটি সদস্য মো. শাহে আলম, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওরের (কাপ) নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত প্রমুখ।