মাসিক শুরুর প্রথম কয়েক বছর বেশির ভাগ নারীই কয়েক দিন কিছুটা শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তিতে ভোগেন। এর উপসর্গ হতে পারে বিভিন্ন ধরনের। ক্লান্তিবোধ, অবসাদ, মানসিক অস্থিরতা, কাজকর্মে ও চিন্তাভাবনায় ঠিকমতো মনোযোগী হতে না পারা ইত্যাদি। এ ছাড়া কোমরে বা তলপেটে এবং স্তনে ভারীবোধ, সামান্য ব্যথা অনুভব, কোষ্ঠকাঠিন্য এসব উপসর্গও থাকতে পারে। তবে এই উপসর্গগুলো কোন নারীর জন্য কতটা কষ্টকর হবে, তাঁর স্বাভাবিক কাজকর্মে কতটা ব্যাঘাত ঘটাবে, তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। সেগুলো হলো:
মাসিকের ব্যথা
মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দুই-চার বছর এ রকম ব্যথা খুব কম হয়। কারণ, এ সময় বেশির ভাগ ঋতুচক্রে ডিম্বাণু নিঃসরণ বা ওভিউলেশন হয় না। ১৮ থেকে ২১ বছরের নারীরা মাসিক শুরু হওয়ার সময় থেকে মাসিকের দুই-তিন দিন এ রকম ব্যথায় ভোগেন। কখনো কখনো ব্যথা শুরু হয় স্রাব শুরু হওয়ার আগে থেকে। এ ব্যথা সাধারণত তলপেটে, কোমরে, পিঠে ও পায়ে হয়ে থাকে। ব্যথা হতে পারে বেশি বয়সেও। কম বয়সের বেশির ভাগ নারীর এ ধরনের ব্যথার তীব্রতা সহ্যসীমার মধ্যে থাকে। এক শতে মাত্র একজন নারীর ক্ষেত্রে এ ব্যথার তীব্রতা বেশি হয়ে থাকে। সঙ্গে বমি বা জ্ঞান হারানোর মতো উপসর্গও থাকতে পারে।
কী করা উচিত
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ