পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়ে কপাল ফাটা নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা ডানা মেলছে। কেউ বলছেন, পেছন থেকে কারও ধাক্কায় তিনি পড়ে যান। রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী ডাক্তার শশী পাঁজা অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের নিজের বাড়ির চত্বরে হাঁটাহাঁটি করার সময় আচমকায় পড়ে গিয়ে কপালে এবং নাকে আঘাত পান। পরে তাঁকে দ্রুত কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কপালে তিনটি এবং নাকে একটি সেলাই পড়ে।
এর পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পড়ে যাওয়া নিয়ে চলছে বিতর্ক। এরই মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এই আঘাত পাওয়া।
এদিকে চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টা অবজারভেশনে থাকার পরামর্শ দিলেও তিনি তাতে রাজি না হয়ে তাঁর দক্ষিণ কলকাতার নিজের বাসভবনে ফিরে যান।
পরবর্তী সময় মুখ্যমন্ত্রীর সার্বিক শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে আজ শুক্রবার সকালে এস এস কে এম হাসপাতালের সুপার মনিময় বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত সম্পর্কিত ব্যাখ্যায় সাংবাদিকদের জানাতে গিয়ে বলেন, ‘পুশ ফ্রম বিহাইন্ড অর্থাৎ পেছন থেকে ধাক্কা।’
এ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। রীতিমতো বিতর্কও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন মানুষের মনে প্রশ্ন বা কৌতূহল বাড়িতে কীভাবে ধাক্কা লাগল মুখ্যমন্ত্রীর? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই বিতর্কের ইস্যুতে মুখ খুলছেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাক্তার শশী পাঁজা। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়ার বিষয়টি হচ্ছে সিনকোপ বা হঠাৎ করে মূর্ছা যাওয়া। এর সঙ্গে কেউ ধাক্কা দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। শরীরের মধ্যে আচমকা অস্থিরতা দেখা দেয় এবং সেই সময়ই কেউ পড়ে যেতেই পারে।’
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর গতকালের আঘাত পাওয়ার ঘটনার পরেই আজ সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের নিজস্ব বাসভবনে পৌঁছে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল।
সূত্র জানিয়েছে, ঘটনা সরেজমিন খতিয়ে দেখতেই পুলিশ কমিশনার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পরিদর্শনে যান। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে এদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।