ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল শনিবার। আজ শুক্রবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই)। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসিআই বলেছে, কাল বেলা ৩টায় দিল্লির বিজ্ঞান ভবনের প্লেনারি হলে সংবাদ সম্মেলনে লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। ইসিআই এক্সে দেওয়া পোস্টে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে চারটি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখও একই সময়ে প্রকাশ করা হবে।
এপ্রিল ও মে মাসে যে চারটি রাজ্যে ভোট হবে বলে আশা করা হচ্ছে তা হলো—অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, ওডিশা ও সিকিম। এ ছাড়া মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খন্ডে এই বছরের শেষের দিকে ভোট হওয়ার কথা। রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই কার্যকর হয়ে যায় নির্বাচনী আচরণবিধি। এর ফলে কোনো সরকার এমন কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা নতুন কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করে।
এবারের নির্বাচন কয় দফার হবে তা নিয়েও রয়েছে জল্পনাকল্পনা। ২০১৯ সালের নির্বাচন ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সাতটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল চার দিন পর।
এনডিটিভি বলছে, এবার সাত-আট দফায় হতে পারে এই নির্বাচন। তবে সবচেয়ে বেশি দফায় ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। শেষবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছিল ১০ মার্চ। মোট সাত দফায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত। যদিও তার আগে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৯ দফায়।
ভারতের বর্তমান লোকসভার মেয়াদ ১৬ জুন শেষ হবে। তাই নিয়ম অনুসারে তার আগে নতুন লোকসভা গঠন করতে হবে। এবার ভোট গ্রহণের প্রথম দফাটি হতে পারে ১৬ এপ্রিলের আশপাশে।
সম্প্রতি তিন সদস্যবিশিষ্ট ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে অবসর নেন অনুপ চন্দ্র পান্ডে। এরপর আচমকাই কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। ফলে কেবল প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারই কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন।