অনলাইন ডেস্ক
ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি ও এর আদর্শিক সংগঠন আরএসএসের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ গ্রহণের ইতিহাস কয়েক দশক পুরোনো। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা গতকাল শুক্রবার জানান, বহু বই ও নথিপত্র রয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, আরএসএস আমেরিকা এবং সিআইএ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি এর আগে অভিযোগ তুলেছিল, ইউএসএআইডি ভারতে ‘ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর’ নামে তহবিল দিয়ে ভারতে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল। তাদের অভিযোগ এতে লাভবান হতো বিরোধী দল কংগ্রেস।
তবে এবার পাল্টা আক্রমণ শাণিয়ে জানিয়েছে, আরএসএস ও বিজেপির সঙ্গে মার্কিন অর্থের সঙ্গে সম্পর্ক বহু পুরোনো, যা ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকেই চলে আসছে এবং তারা রাজনৈতিকভাবে এর সুবিধা নিয়েছে। কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি যে ২১ মিলিয়ন ডলারের তহবিলের কথা বলছে, সেটি মূলত বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল।
কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা জানান, বহু বই ও নথিপত্র রয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, আরএসএস আমেরিকা এবং সিআইএ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছিল, যাতে জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে অস্থির করা যায়। এমনকি, ১৯৭০-এর দশকের জয়প্রকাশ নারায়ণের (জেপি) আন্দোলন চলাকালেও তারা এই অর্থ পেয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এক সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন, তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি কে. কামারাজকে হত্যা করার জন্য একটি চক্রান্তও হয়েছিল।
খেরা জানান, জনসংঘের সেই সময়কার নেতারা আমেরিকা সফরে গিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রচার চালাতেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারত সরকারের কাছে অপমানিত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল আমেরিকা, আর তখন এরা (আরএসএস ও জনসঙ্ঘ) হয়ে উঠেছিল মার্কিন সরকারের হাতের ক্রীড়নক।’ খেরা বলেন, অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে যে, ভারতে আসা ২১ মিলিয়ন ডলারের দাবি আদতে মিথ্যা। কারণ, এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য।
কংগ্রেস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, প্রতিবেশী দেশের জন্য এত বড় ইউএসএআইডি তহবিল কীভাবে নজর এড়িয়ে গেল এবং এরপরই যে বিক্ষোভ শুরু হয়, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে তোলে এবং সরকার পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
খেরা বলেন, ‘সরকার ও এর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তখন কী করছিল? বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা কি ভারতের ওপর প্রভাব ফেলে না? একসময়, ১৯৭১ সালের মতো পরিস্থিতিতে, এমনকি আমেরিকাও ভারতের সামনে নতিস্বীকার করত। আর এখন বাংলাদেশের জন্য এত বড় অঙ্কের অর্থ প্রবাহিত হচ্ছে, অথচ ভারত সরকার কিছু টেরই পাচ্ছে না! এটি সরকারের জন্য বড় ধাক্কা।’
কংগ্রেস জানায়, বিজেপি যে তহবিলের কথা বলছে, সেটি আদতে বিজেপির স্বার্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। খেরা বলেন, ২০১২ সালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আন্না হাজারের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভের পেছনে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বিশাল পরিমাণ ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বে ইউপিএ সরকারকে অস্থিতিশীল করা এবং এই ষড়যন্ত্রে আরএসএস ও তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা ছিল।
ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি ও এর আদর্শিক সংগঠন আরএসএসের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ গ্রহণের ইতিহাস কয়েক দশক পুরোনো। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা গতকাল শুক্রবার জানান, বহু বই ও নথিপত্র রয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, আরএসএস আমেরিকা এবং সিআইএ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপি এর আগে অভিযোগ তুলেছিল, ইউএসএআইডি ভারতে ‘ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর’ নামে তহবিল দিয়ে ভারতে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল। তাদের অভিযোগ এতে লাভবান হতো বিরোধী দল কংগ্রেস।
তবে এবার পাল্টা আক্রমণ শাণিয়ে জানিয়েছে, আরএসএস ও বিজেপির সঙ্গে মার্কিন অর্থের সঙ্গে সম্পর্ক বহু পুরোনো, যা ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকেই চলে আসছে এবং তারা রাজনৈতিকভাবে এর সুবিধা নিয়েছে। কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি যে ২১ মিলিয়ন ডলারের তহবিলের কথা বলছে, সেটি মূলত বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল।
কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা জানান, বহু বই ও নথিপত্র রয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, আরএসএস আমেরিকা এবং সিআইএ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছিল, যাতে জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে অস্থির করা যায়। এমনকি, ১৯৭০-এর দশকের জয়প্রকাশ নারায়ণের (জেপি) আন্দোলন চলাকালেও তারা এই অর্থ পেয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এক সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন, তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি কে. কামারাজকে হত্যা করার জন্য একটি চক্রান্তও হয়েছিল।
খেরা জানান, জনসংঘের সেই সময়কার নেতারা আমেরিকা সফরে গিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রচার চালাতেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারত সরকারের কাছে অপমানিত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল আমেরিকা, আর তখন এরা (আরএসএস ও জনসঙ্ঘ) হয়ে উঠেছিল মার্কিন সরকারের হাতের ক্রীড়নক।’ খেরা বলেন, অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে যে, ভারতে আসা ২১ মিলিয়ন ডলারের দাবি আদতে মিথ্যা। কারণ, এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য।
কংগ্রেস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, প্রতিবেশী দেশের জন্য এত বড় ইউএসএআইডি তহবিল কীভাবে নজর এড়িয়ে গেল এবং এরপরই যে বিক্ষোভ শুরু হয়, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে তোলে এবং সরকার পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
খেরা বলেন, ‘সরকার ও এর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তখন কী করছিল? বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা কি ভারতের ওপর প্রভাব ফেলে না? একসময়, ১৯৭১ সালের মতো পরিস্থিতিতে, এমনকি আমেরিকাও ভারতের সামনে নতিস্বীকার করত। আর এখন বাংলাদেশের জন্য এত বড় অঙ্কের অর্থ প্রবাহিত হচ্ছে, অথচ ভারত সরকার কিছু টেরই পাচ্ছে না! এটি সরকারের জন্য বড় ধাক্কা।’
কংগ্রেস জানায়, বিজেপি যে তহবিলের কথা বলছে, সেটি আদতে বিজেপির স্বার্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। খেরা বলেন, ২০১২ সালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আন্না হাজারের নেতৃত্বে হওয়া বিক্ষোভের পেছনে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের বিশাল পরিমাণ ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বে ইউপিএ সরকারকে অস্থিতিশীল করা এবং এই ষড়যন্ত্রে আরএসএস ও তার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা ছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। পেসকভ বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গঠন
১২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের সফলতা প্রদর্শনে বড় ধরনের বাজি ধরতে যাচ্ছেন। তাঁর দীর্ঘদিনের বিশ্বাস, ‘প্রতিশোধমূলক’ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বর্ণযুগ’ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেনেপালে রাজতন্ত্র এবং হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক রূপ নিচ্ছে, যা দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মাওবাদী কমান্ডার দুর্গা প্রসাদ। মাওবাদী নেতার হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের নেতা হয়ে ওঠা পরিস্থিতিকে আরও জটিল
১৩ ঘণ্টা আগেপ্যারিসের একটি আদালত ফ্রান্সের বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও ন্যাশনাল র্যালি দলের নেতা মেরিন ল পেনকে সরকারি দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তহবিলের ৩০ লাখ ইউরো (প্রায় ২.৫১ মিলিয়ন পাউন্ড) আত্মসাতের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে