অনলাইন ডেস্ক
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে জানিয়েছেন, ঢাকার ‘সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক করা উচিত হবে না’। গতকাল শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জ্যাসওয়াল। তাঁর বক্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা সংস্থা—সার্কের পুনরুজ্জীবনে ভারতের সহায়তা কামনা করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে ঢাকাকে দেওয়া এই বার্তাটি, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার প্রতি সুস্পষ্ট অসন্তোষ প্রকাশের ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ভারত যেখানে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন—বিমসটেককে শক্তিশালী করতে চায় সেখানে বাংলাদেশ চায় বিমসটেকের পাশাপাশি সার্কের পুনরুজ্জীবন। কিন্তু ২০১৬ সালে উরি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনার পর ভারত কার্যত একাই সার্ককে অকার্যকর করে রেখেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে সেই বছরের পর থেকে সার্কের আর কোনো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু ওমানের রাজধানী মাসকাটে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনে ভারতের সহায়তা কামনা করেন।
রণধীর জ্যাসওয়াল জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওমানের মাসকাটে অনুষ্ঠিত ভারত মহাসাগর সম্মেলনের ফাঁকে জয়শঙ্কর ও তৌহিদ হোসেনের বৈঠকের সময় ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এই বার্তা দেওয়া হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘হ্যাঁ, এই বিষয়ে বৈঠকের সময় বাংলাদেশ পক্ষ থেকে আলোচনা তোলা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে, কোন দেশ ও কী ধরনের কার্যকলাপ সার্ককে ব্যাহত করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক না করা।’
২০১৪ সালে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত শেষ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের পর থেকে সার্ক কার্যকরভাবে অচল হয়ে আছে। ২০১৬ সালে সার্ক সম্মেলন ইসলামাবাদে হওয়ার কথা থাকলেও জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পর বাংলাদেশ, ভুটান ও আফগানিস্তানও সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারত বরাবরই বিমসটেকের কাঠামোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিলেও, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস ‘সার্কের চেতনাকে পুনর্জীবিত করার’ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরলে বাংলাদেশ আবারও সার্ককে আলোচনায় ফিরিয়ে আনে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন যখন মাসকাটে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে সার্ক পুনরুজ্জীবনের পক্ষে মতপ্রকাশ করেন, তখন ভারতের পক্ষ থেকে নিজেদের অবস্থান শক্তভাবে জানানো প্রয়োজন বলে মনে করা হয়।
এই বিষয়ে ভারতের একটি সূত্র টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘ইউনূস ছয় মাসের মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন। ঢাকায় পাকিস্তানি কূটনীতিকেরা অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছেন, আইএসআই-এর দল বাংলাদেশ সফর করছে, সাংস্কৃতিক বিনিময় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে...পাকিস্তান থেকে কার্গো জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে এবং শিগগিরই বাণিজ্যিক ফ্লাইটও চালু হতে যাচ্ছে।’ সূত্রটির দাবি, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ভারতের কাছে স্বস্তিদায়ক নয়।
বাংলাদেশে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কেও ব্রিফিংয়ে আলোচনা হয়। রণধীর জ্যাসওয়াল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা এ ধরনের মন্তব্যের বিষয়টি লক্ষ্য করেছি, যা অবশ্যই ফলপ্রসূ নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজেদের অবস্থানের পরিণতি সম্পর্কে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে জানিয়েছেন, ঢাকার ‘সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক করা উচিত হবে না’। গতকাল শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জ্যাসওয়াল। তাঁর বক্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা সংস্থা—সার্কের পুনরুজ্জীবনে ভারতের সহায়তা কামনা করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে ঢাকাকে দেওয়া এই বার্তাটি, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার প্রতি সুস্পষ্ট অসন্তোষ প্রকাশের ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ভারত যেখানে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন—বিমসটেককে শক্তিশালী করতে চায় সেখানে বাংলাদেশ চায় বিমসটেকের পাশাপাশি সার্কের পুনরুজ্জীবন। কিন্তু ২০১৬ সালে উরি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনার পর ভারত কার্যত একাই সার্ককে অকার্যকর করে রেখেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে সেই বছরের পর থেকে সার্কের আর কোনো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু ওমানের রাজধানী মাসকাটে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনে ভারতের সহায়তা কামনা করেন।
রণধীর জ্যাসওয়াল জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওমানের মাসকাটে অনুষ্ঠিত ভারত মহাসাগর সম্মেলনের ফাঁকে জয়শঙ্কর ও তৌহিদ হোসেনের বৈঠকের সময় ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে এই বার্তা দেওয়া হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘হ্যাঁ, এই বিষয়ে বৈঠকের সময় বাংলাদেশ পক্ষ থেকে আলোচনা তোলা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে, কোন দেশ ও কী ধরনের কার্যকলাপ সার্ককে ব্যাহত করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক না করা।’
২০১৪ সালে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত শেষ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের পর থেকে সার্ক কার্যকরভাবে অচল হয়ে আছে। ২০১৬ সালে সার্ক সম্মেলন ইসলামাবাদে হওয়ার কথা থাকলেও জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত এতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পর বাংলাদেশ, ভুটান ও আফগানিস্তানও সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভারত বরাবরই বিমসটেকের কাঠামোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিলেও, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূস ‘সার্কের চেতনাকে পুনর্জীবিত করার’ প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরলে বাংলাদেশ আবারও সার্ককে আলোচনায় ফিরিয়ে আনে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন যখন মাসকাটে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে সার্ক পুনরুজ্জীবনের পক্ষে মতপ্রকাশ করেন, তখন ভারতের পক্ষ থেকে নিজেদের অবস্থান শক্তভাবে জানানো প্রয়োজন বলে মনে করা হয়।
এই বিষয়ে ভারতের একটি সূত্র টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘ইউনূস ছয় মাসের মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন। ঢাকায় পাকিস্তানি কূটনীতিকেরা অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছেন, আইএসআই-এর দল বাংলাদেশ সফর করছে, সাংস্কৃতিক বিনিময় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে...পাকিস্তান থেকে কার্গো জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে এবং শিগগিরই বাণিজ্যিক ফ্লাইটও চালু হতে যাচ্ছে।’ সূত্রটির দাবি, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ভারতের কাছে স্বস্তিদায়ক নয়।
বাংলাদেশে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কেও ব্রিফিংয়ে আলোচনা হয়। রণধীর জ্যাসওয়াল বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা এ ধরনের মন্তব্যের বিষয়টি লক্ষ্য করেছি, যা অবশ্যই ফলপ্রসূ নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজেদের অবস্থানের পরিণতি সম্পর্কে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।’
মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ডের উদ্যোগে মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতির ওপর উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের পরিধি, পদ্ধতি, বিন্যাস ও সংগঠন সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
৩১ মিনিট আগেপাপুয়া নিউ গিনির সরকার দেশটিতে গত সোমবার থেকে ফেসবুকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুয়া খবর এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এটি একটি পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ।
৩৪ মিনিট আগেবেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো দাবি করেছেন, তাঁর দেশ বাস্তবে কৃতিত্ব দেখানো একনায়কত্ব এবং জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর মতে, বিশ্বের অর্ধেক মানুষ এই ধরনের শাসনব্যবস্থার স্বপ্ন দেখে।
২ ঘণ্টা আগেযুদ্ধ বন্ধের দাবি এবং হামাসকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে গাজায় বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ ফিলিস্তিনি। হামাসের বিরুদ্ধে তাঁদের স্লোগান দিতেও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদ খুবই বিরল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার সূত্র ধরেই সংঘাতের নত
৩ ঘণ্টা আগে