পাকিস্তানের এক গ্রামে কোরআন শরিফ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে গতকাল রোববার এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ইমরান খান বলেন, গণপিটুনিকে আইনের মাধ্যমে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। যারা নিজের হাতে আইন তুলে নেয় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করব।
পুলিশ কর্মকর্তা মুনাওয়ার হুসেন রয়টার্সকে বলেছেন, শনিবার রাতে তুলাম্বা গ্রামের একটি মসজিদে জনতা জড়ো হয়েছিল। সেখানে এক নেতার ছেলে অভিযোগ করে বলেন, তিনি মুহাম্মদ মুশতাক নামের এক ব্যক্তিকে কোরআন পোড়াতে দেখেছেন।
পরে উত্তেজিত গ্রামবাসী লাঠি, কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মুশতাককে হত্যা করে এবং মৃতদেহটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। হুসেন বলেন, এ সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য থেকে মনে হয়েছে, তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। পাকিস্তানের একজন সরকারি মুখপাত্র বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ৬০ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা পাকিস্তানে প্রায় নিয়মিতই ঘটে। যদিও এ অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে দেশটিতে।
গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর শিয়ালকোটে এক কারখানার শ্রমিকেরা পাকিস্তানে বসবাসরত শ্রীলঙ্কার এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছিল। তখন ইমরান খান বলেছিলেন, এটি পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।