Ajker Patrika

কিশোরকে বিয়ে করতে পাকিস্তানে গিয়ে ভাইরাল এক মার্কিন নারী

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ৪৪
পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পথে দুবাই এয়ারপোর্টে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অনিজাহ (সর্বডানে)। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পথে দুবাই এয়ারপোর্টে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অনিজাহ (সর্বডানে)। ছবি: দ্য ইনডিপেনডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস করেন ৩৩ বছর বয়সী অনিজাহ অ্যান্ড্রু রবিনসন। গত বছরের অক্টোবরে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে যান এবং নিদাল আহমেদ মেমন নামের ১৯ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বিয়ে করতে চান। তবে ওই কিশোরের পরিবার এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি প্রত্যাখ্যাত হন।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, অনিজাহের ৩০ দিনের ভিসার মেয়াদ গত বছরের নভেম্বরে শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে তিনি পাকিস্তান ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। তাঁর এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়; বিশেষ করে ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

চার মাস পর পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মার্কিন সেই নারী অবশেষে পাকিস্তান ছেড়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার করাচি থেকে তিনি একটি ফ্লাইটে চড়েন। এর আগে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছিল।

পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, একটি মেডিকেল বোর্ড অনিজাহকে ভ্রমণের উপযোগী ঘোষণা করলে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। করাচির মার্কিন কনস্যুলেটের কর্মীরা তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য রাজি করান এবং তাঁর টিকিটের ব্যবস্থাও করেন।

তবে এই অদ্ভুত ঘটনার নতুন মোড় এসেছে গতকাল সোমবার। কারণ, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অনিজাহকে দুবাইয়ে দেখা গেছে বলে দাবি করা হয়।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তাঁর ফ্লাইটটি দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ইনস্টাগ্রামের একটি ক্লিপে দেখা যায়, তিনি দুবাইয়ের রাস্তায় একদল হাস্যোজ্জ্বল পুরুষের সঙ্গে সেলফি তুলছেন।

ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘রবিনসন (অনিজাহ) দুবাইয়ে নতুন ভক্তদের আকৃষ্ট করেছেন।’

জানা গেছে, পাকিস্তানে অবস্থানকালে একটি অদ্ভুত সংবাদ সম্মেলন করেন অনিজাহ। এই সম্মেলনে তিনি পাকিস্তান সরকারের কাছে ১ লাখ ডলার বা তারও বেশি অর্থ দাবি করেন। তিনি জানান, এই অর্থ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেবা, অবকাঠামো এবং স্থানীয় পরিবহন উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হবে।

আরেকটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার ডলার বা তার বেশি চাই। পাঁচ থেকে দশ হাজার ডলার চাই এখানে থাকার জন্য এবং সরকারকে তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবি পূরণ করতে হবে।’

অনিজাহের এসব বক্তব্য পরে টিকটকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত