তরুণদের দেশত্যাগ কঠিন করে তুলেছে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
ছবি: খাইবার নিউজ

গালফ দেশগুলোসহ বিশেষ কয়েকটি দেশে ভ্রমণকারী তরুণদের ওপর নজরদারি আরও বাড়িয়েছে পাকিস্তান। মানবপাচার প্রতিরোধে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) বিমানবন্দরে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।

বুধবার গালফ নিউজ জানিয়েছে, মূলত ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে যারা প্রথমবার বিদেশ ভ্রমণ করছেন তাঁদের ওপরই বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। পাকিস্তানের ৯টি প্রধান শহরের বিমানবন্দরগুলোতে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তাঁরা এই বয়সসীমার ভ্রমণকারীদের ভ্রমণ নথি ও কার্যক্রম আরও সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেন।

এফআইএ-র নির্দেশনায় সন্দেহভাজন গন্তব্য হিসেবে আজারবাইজান, ইথিওপিয়া, সেনেগাল, কেনিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরব, মিশর, লিবিয়া, ইরান, মৌরিতানিয়া, ইরাক, তুরস্ক, কাতার, কুয়েত, এবং কিরগিজস্তানের মতো দেশগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব দেশ মানবপাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।

২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—অসংখ্য পাকিস্তানি পর্যটন, ভিজিট, ধর্মীয় বা শিক্ষা ভিসার আড়ালে ওই দেশগুলোতে গিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।

এ অবস্থায় পাকিস্তানের মান্দি বাহাউদ্দিন, গুজরাট, সিয়ালকোট, গুজরানওয়ালা, ভিম্বার, জেলাম, তোবা টেক সিং, হাফিজাবাদ এবং শেখুপুরার মতো শহরের যাত্রীদের ওপর বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। এই এলাকাসমূহের ভ্রমণকারীদের ভ্রমণ নথি, যেমন-রিটার্ন টিকিট ও হোটেল বুকিং খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং গালফভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোতেও পর্যটন বা ভিজিট ভিসায় ভ্রমণকারীদের বিশেষ সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাদের আর্থিক অবস্থা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য বিশদভাবে যাচাই করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের এফআইএ-র একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘তরুণ ভ্রমণকারীদের জন্য এই কঠোর পরীক্ষা হয়তো অনধিকারমূলক মনে হতে পারে। কিন্তু এটি মানবপাচার প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যবস্থাগুলো ভ্রমণকারীদের সুরক্ষা এবং শোষণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত