যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।
মিশিগান স্টেট পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে গুলির এ ঘটনা ঘটেছে। সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ব্যক্তি মুখোশ পরা ছিলেন। তিনি একজন খর্বাকৃতির পুরুষ। তাঁকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির পুলিশ সোমবার রাতেই বন্দুকধারীর একটি ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে দেখা গেছে, বন্দুকধারী খর্বাকৃতির ব্যক্তি লাল রঙের জুতা ও জিনস জ্যাকেট পরে আছেন। গুলি করার পরপরই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর দিকের ইউনিয়ন ভবন থেকে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে।
মিশিগানের উপ-পুলিশের প্রধান ক্রিস রোজম্যান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সোমবার রাত ৮টা ১৮ মিনিটের দিকে গোলাগুলির খবর পাই। এর পরই দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়াই প্রথম অগ্রাধিকার বলে জানান ক্রিস রোজম্যান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। সেসব ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সঠিক তথ্যের জন্য পুলিশ বিভাগের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করুন।
অন্য এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি বন্দুক হামলা হয়েছে। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৪০টি গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
যুক্তরাষ্ট্রের গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য অনুসারে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় অন্তত ৪৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক মৃত্যু হত্যা, দুর্ঘটনা ও আত্মরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অর্ধেক আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু।
যুক্তরাষ্ট্রে গত এক দশকের মধ্যে বন্দুক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড ২০২০ সালে। মার্কিন সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) তথ্যমতে, ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত বা গুলিতে হওয়া ক্ষতের কারণে মোট ৪৫ হাজার ২২২ জন মারা গেছে। এগুলোর মধ্যে যেমন বন্দুক সহিংসতা আছে, তেমনি আছে হত্যা, আত্মহত্যাও।