ই-ক্যাব নির্বাচনে নিজেকে যোগ্য প্রার্থী মনে করেন কেন?
আব্দুল ওয়াহেদ তমাল: বাংলাদেশের আইসিটি খাতের সঙ্গে আমি প্রায় ২২ বছর জড়িত। আমরা যখন ই-ক্যাব গঠন করি, তখন অনেকে উপহাস করেছে। এমনকি ই-ক্যাব যাতে অনুমোদন না পায় এ জন্য বাধাও দিয়েছে। সেই বাধা অতিক্রম করে আমরা ই-ক্যাবের লাইসেন্স পেয়েছি। গত ৮ বছরে ই-কমার্স নীতিমালা, কয়েক হাজার উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, এই সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা ও সর্বশেষ যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ই-ক্যাবের কাজগুলোয় আমি সরাসরি জড়িত থেকেছি। পলিসি তৈরি ও মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছি। প্রতিটি কাজ সফল হয়েছে। আমার দায়িত্ব আমি সঠিকভাবে পালন করেছি। যোগ্যতার বিচার করবেন অন্যরা।
গত মেয়াদে ই-কমার্স সেক্টরে আপনাদের উল্লেখযোগ্য অবদান কী কী?
আব্দুল ওয়াহেদ তমাল: ৬-৭ বছর আগে লজিস্টিক সেবা খাতের নানা সমস্যা ছিল। প্রতি মাসে অভিযোগ আসত ‘ই-কমার্স উদ্যোক্তার টাকা নিয়ে লজিস্টিক কোম্পানি উধাও’ এই ধরনের। প্রতিটি সমস্যা আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। ডিজিটাল কমার্স পলিসি তৈরি ও বাস্তবায়নে ই-ক্যাব অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সর্বশেষ এই খাতে শৃঙ্খলা আসতে এসওপি বা নির্দেশিকা তৈরির জন্য আমরা বারবার চিঠি দিয়েছি এবং তা বাস্তবায়ন হয়েছে। আজ ঝুঁকিপূর্ণ ই-কমার্স ব্যবসা প্রায় বন্ধ। এটাকে একটা বিশাল সফলতা বলব আমরা। তা না হলে আরও ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
নির্বাচিত হলে ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নে কী কী করতে চান আপনি?
আব্দুল ওয়াহেদ তমাল: আমরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য কাজের জায়গা তৈরি, বিনিয়োগ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি, ই-ক্যাবের জন্য নিজস্ব কার্যালয়, ই-কমার্সবান্ধব বাজেট ও আইন প্রণয়নে কাজ করতে চাই। সেক্টর ধরে ধরে আমরা সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চাই। যেমন আমরা লজিস্টিক সেবাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, গ্রামীণ ই-কমার্সের উন্নয়ন, ক্রস বর্ডার পলিসি তৈরি করে দেশের ই-কমার্সকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর। এসব কাজের অনেকটাই আমরা ইতিমধ্যে শুরু করেছি। শুধু বাস্তবায়নের অপেক্ষা।
আসন্ন ই-ক্যাব নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা কী?
আব্দুল ওয়াহেদ তমাল: সবার অংশগ্রহণে ভালো একটা নির্বাচন হবে। সবাই দায়িত্বশীলতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেবে। অতীতের মতো সদস্যরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন এবং সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটাই প্রত্যাশা।