দুই দশক আগে মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন সিকদার মুকিত। ২০১৪ সাল থেকে অভিনয় করছেন টিভি নাটকে। অভিনয়কে ভালোবেসে অন্য কোনো পেশায় জড়াননি। এখনো নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গত নভেম্বরে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘মেসমেট’। ওয়েব সিরিজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে সিকদার মুকিতের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ
গত নভেম্বরে আপনার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘মেসমেট’ মুক্তি পায়। কেমন সাড়া পেলেন?
খুব ভালো। মেসমেট একটি সাইকো থ্রিলার গল্প। শুটিং হয়েছিল ২০২২ সালে। একটি ভালো প্রোডাকশনের জন্য নির্মাতা জন মিল্টন পোস্টে অনেক সময় দিয়েছেন। এর ফল সিরিজটি মুক্তির পর পাওয়া গেছে।
মামুন নামের সাইকো চরিত্রটির জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছেন?
সিরিজটি তৈরি হয়েছে পলাশ পুরকায়স্থের মেসমেট উপন্যাস অবলম্বনে। বইটি আমি কয়েকবার পড়েছি। মামুন নামের চরিত্রটির একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, কেন সে সাইকো হয়ে ওঠে; যেটা সিরিজে দেখা যায়নি। এটা আমাকে খুব সাহায্য করেছে। কারণ, মামুনের জীবনের অনেক কিছুর সঙ্গে আমার জীবনের মিল রয়েছে। চরিত্রটি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে অনেক আলোচনা করেছি। আমার ওপর পরিচালকের আস্থা ছিল। তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। প্রচুর রিহার্সেল করেছি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছি এই চরিত্রের জন্য। শুটিংয়ের ৬-৭ মাস আগে থেকে সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
তাহলে নিশ্চয় দ্বিতীয় সিজন আসছে?
সম্ভাবনা আছে। নির্মাতার কাছ থেকে সে রকম ইঙ্গিত পেয়েছি। সেখানে হয়তো আমার অভিনীত চরিত্রটির বেড়ে ওঠা দেখা যাবে।
মেসমেটে আপনার সহশিল্পী ছিলেন অভিনেতা আফজাল হোসেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
এই সিরিজেই তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। এর আগে দেখাও হয়নি। তবে সেটে তা একবারও উপলব্ধি হয়নি। শুটিংয়ে তিনি আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন, সাহস দিয়েছেন। ভালো করলে প্রশংসা করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম পাওয়া।
শোবিজে আপনার শুরু হয়েছিল কীভাবে?
পটুয়াখালী থেকে এসএসসি পাস করে ২০০০ সালে মিরপুর কলেজে ভর্তি হই। তখন কলেজের অবয়ব নাট্যদলে যোগ দিই। এরপর বেশ কিছু মঞ্চনাটকে অতিথি শিল্পী হয়ে কাজ করি। একসময় মনে হলো, অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়। ২০১৪ সালে দীপ্ত টিভির ‘অপরাজিতা’ সিরিয়াল দিয়ে ভিজ্যুয়াল ক্যারিয়ার শুরু। সেই থেকে অভিনয় নিয়ে আছি।
এখন কি মনে হয় অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল?
আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়া খুব কঠিন। প্রফেশনাল বলতে আমরা বুঝি পারিশ্রমিকের বিষয়টি। কিন্তু আমরা কথা আর কাজে একেবারে নন-প্রফেশনাল। অভিনয়কে ভালোবেসে ফেলেছি, তাই কঠিন পথটাও সহজ হিসেবে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনো মনে হয়, অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্তটা সঠিক। সার্থকতাটা নিজের কাছে। সফল কে, সেটা নিজে ছাড়া কেউ জানে না। আপনার কাছে হয়তো কেউ ব্যর্থ, কিন্তু তাঁর নিজের কাজে তিনি সফল। আর এখন অভিনয় করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। ইচ্ছা করলে তো পেছনে ফেরা সম্ভব নয়।
কখনো হতাশ হয়েছেন?
মিথ্যা বলব না, মাঝে মাঝে হতাশ লাগে। তখন নিজেকে নিজে মোটিভেট করি। নিজের অভিনয় নিয়ে ভাবি। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করি। হতাশ হয়ে ভেঙে পড়লে তো স্বপ্ন পূরণ করা যাবে না।
সামনে আর কী কাজ আসছে?
দুটি সিনেমার কাজ শেষ হয়ে আছে। মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের ‘মাস্তুল’ ও সাব্বির মাহমুদের অ্যান্থলজি সিনেমা ‘একটুখানি অ্যাকশন’। নতুন বছরেই সিনেমা দুটি মুক্তি পাওয়ার কথা। এ ছাড়া বেশ কিছু নাটক নিয়ে কথাবার্তা চলছে।
বিনোদন, আজকের বিনোদন
গত নভেম্বরে আপনার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘মেসমেট’ মুক্তি পায়। কেমন সাড়া পেলেন?
খুব ভালো। মেসমেট একটি সাইকো থ্রিলার গল্প। শুটিং হয়েছিল ২০২২ সালে। একটি ভালো প্রোডাকশনের জন্য নির্মাতা জন মিল্টন পোস্টে অনেক সময় দিয়েছেন। এর ফল সিরিজটি মুক্তির পর পাওয়া গেছে।
মামুন নামের সাইকো চরিত্রটির জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছেন?
সিরিজটি তৈরি হয়েছে পলাশ পুরকায়স্থের মেসমেট উপন্যাস অবলম্বনে। বইটি আমি কয়েকবার পড়েছি। মামুন নামের চরিত্রটির একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, কেন সে সাইকো হয়ে ওঠে; যেটা সিরিজে দেখা যায়নি। এটা আমাকে খুব সাহায্য করেছে। কারণ, মামুনের জীবনের অনেক কিছুর সঙ্গে আমার জীবনের মিল রয়েছে। চরিত্রটি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে অনেক আলোচনা করেছি। আমার ওপর পরিচালকের আস্থা ছিল। তিনি পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। প্রচুর রিহার্সেল করেছি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছি এই চরিত্রের জন্য। শুটিংয়ের ৬-৭ মাস আগে থেকে সব কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
তাহলে নিশ্চয় দ্বিতীয় সিজন আসছে?
সম্ভাবনা আছে। নির্মাতার কাছ থেকে সে রকম ইঙ্গিত পেয়েছি। সেখানে হয়তো আমার অভিনীত চরিত্রটির বেড়ে ওঠা দেখা যাবে।
মেসমেটে আপনার সহশিল্পী ছিলেন অভিনেতা আফজাল হোসেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
এই সিরিজেই তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। এর আগে দেখাও হয়নি। তবে সেটে তা একবারও উপলব্ধি হয়নি। শুটিংয়ে তিনি আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন, সাহস দিয়েছেন। ভালো করলে প্রশংসা করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম পাওয়া।
শোবিজে আপনার শুরু হয়েছিল কীভাবে?
পটুয়াখালী থেকে এসএসসি পাস করে ২০০০ সালে মিরপুর কলেজে ভর্তি হই। তখন কলেজের অবয়ব নাট্যদলে যোগ দিই। এরপর বেশ কিছু মঞ্চনাটকে অতিথি শিল্পী হয়ে কাজ করি। একসময় মনে হলো, অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়া যায়। ২০১৪ সালে দীপ্ত টিভির ‘অপরাজিতা’ সিরিয়াল দিয়ে ভিজ্যুয়াল ক্যারিয়ার শুরু। সেই থেকে অভিনয় নিয়ে আছি।
এখন কি মনে হয় অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল?
আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়া খুব কঠিন। প্রফেশনাল বলতে আমরা বুঝি পারিশ্রমিকের বিষয়টি। কিন্তু আমরা কথা আর কাজে একেবারে নন-প্রফেশনাল। অভিনয়কে ভালোবেসে ফেলেছি, তাই কঠিন পথটাও সহজ হিসেবে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনো মনে হয়, অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্তটা সঠিক। সার্থকতাটা নিজের কাছে। সফল কে, সেটা নিজে ছাড়া কেউ জানে না। আপনার কাছে হয়তো কেউ ব্যর্থ, কিন্তু তাঁর নিজের কাজে তিনি সফল। আর এখন অভিনয় করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। ইচ্ছা করলে তো পেছনে ফেরা সম্ভব নয়।
কখনো হতাশ হয়েছেন?
মিথ্যা বলব না, মাঝে মাঝে হতাশ লাগে। তখন নিজেকে নিজে মোটিভেট করি। নিজের অভিনয় নিয়ে ভাবি। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করি। হতাশ হয়ে ভেঙে পড়লে তো স্বপ্ন পূরণ করা যাবে না।
সামনে আর কী কাজ আসছে?
দুটি সিনেমার কাজ শেষ হয়ে আছে। মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের ‘মাস্তুল’ ও সাব্বির মাহমুদের অ্যান্থলজি সিনেমা ‘একটুখানি অ্যাকশন’। নতুন বছরেই সিনেমা দুটি মুক্তি পাওয়ার কথা। এ ছাড়া বেশ কিছু নাটক নিয়ে কথাবার্তা চলছে।
বিনোদন, আজকের বিনোদন
সংস্কারের জন্য অনেকগুলো কমিশন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। আজ বুধবার প্রতিবেদন দিচ্ছে তারা। কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন...
১৫ দিন আগেপ্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, সংস্কার ও বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের প্রথমার্ধে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়ার কোনো ঘাটতি নেই। গত ২৯ ডিসেম্বর (২০২৪) ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বাং
২২ দিন আগেনেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তসীমান্ত জ্বালানি বাণিজ্য সবার জন্যই লাভজনক হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি বিনিময় আরও গতিশীল হলেই বাজার পরিপক্ব হবে। তখন সবার জন্যই লাভজনক...
০২ জানুয়ারি ২০২৫সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি সার্ক পোভার্টি কমিশনের সদস্য এবং বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় পরামর্শক ছিলেন।
০২ জানুয়ারি ২০২৫