দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে প্রায় ৬০ হাজার ভোটে পরাজিত করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে এই আসন থেকে ১৫ বছর পর লাঙ্গলের এমপি হয়েছেন আশু। এর আগে ২০০৮ সালে এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাপার আব্দুল জব্বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী আসন নিয়ে নিজের পরিকল্পনা ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান।
এই আসনের নানা খাতে দুর্নীতির বিষয়ে একসময় সোচ্চার ছিলেন আশরাফুজ্জামান। বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির সভায় আমি পরিষ্কার বলেছি, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব অডিট করতে হবে। তবে এ কথা সত্য, ১০ বছরের জঞ্জাল এক দিনে সরানো সম্ভব নয়। আমি অঙ্গীকার করছি, ভোমরা স্থলবন্দর, চেম্বারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে চাঙা করার চেষ্টা করব।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ-বাণিজ্যের বিষয়ে সংসদ সদস্য আশু বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ না হলে ওই সব নিয়োগ বোর্ড আমি বাতিল করার পক্ষে কাজ করব।’ সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে মাদক ও চোরাচালান বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাদক ও চোরাচালানের একটা সিন্ডিকেট আছে সাতক্ষীরায়। তারা ভদ্রভাবে ঘুরে বেড়ায়, আর ভেতরে-ভেতরে লোকজন দিয়ে চোরাচালান করায়। তারা আবার প্রশাসনের সঙ্গে ওঠাবসাও করে। আমি তাদের মুখোশ খুলে ফেলতে চাই।’
এমপি হিসেবে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিশেষ করে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান ও সড়কব্যবস্থার উন্নয়নের চেষ্টা করব।’