আজকের পত্রিকা
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি বলেছেন, লকডাউনের কারণে ক্রেতাসংকটে আছেন খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এদিকে এখানকার অস্থায়ী শ্রমিকেরা লকডাউনে বেকার হয়ে গেছেন। এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন আজকের পত্রিকাকে।
প্রশ্ন: কঠোর লকডাউনে ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায় কী প্রভাব পড়েছে?
মোহাম্মদ ইদ্রিস: লকডাউনের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা খাতুনগঞ্জে আসতে পারছেন না। এখানকার আড়তে মালামাল পড়ে আছে। বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। আমরা প্রতিদিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসে আছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা চরম ক্রেতাসংকটে আছি।
প্রশ্ন: কোরবানির ঈদে বড় ধরনের ব্যবসার সুযোগ হয়? এবার কী অবস্থা?
মোহাম্মদ ইদ্রিস: এবার কোরবানির ঈদেও আমরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আশানুরূপ বেচাবিক্রি হয়নি। কারণ, তখন লকডাউন ছিল। কোরবানির প্রায় এক মাস আগে থেকে চাক্তাই–খাতুনগঞ্জে শুরু হয় মসলা বেচাকেনা। কিন্তু এবার তেমন কিছুই হয়নি। একেবারে সুপার ফ্লপ।
প্রশ্ন: ভোগ্যপণ্য তো নিতেই হচ্ছে মানুষকে। তাহলে আদৌ ব্যবসা কমছে কি না?
মোহাম্মদ ইদ্রিস: এখন ভোগ্যপণ্যের সংকট নেই। মানুষের ঘরে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। এ ছাড়া টিসিবি থেকে সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্য যেমন—তেল, পেঁয়াজ, চিনি ও ডাল কম দামে কিনতে পারছেন। এসবের প্রভাব কিন্তু আমাদের আড়তে পড়ছে। মানুষের মাঝে হাহাকার নেই। ফলে আড়ত থেকে পণ্য কম যাচ্ছে।
প্রশ্ন: এখানে মোট কতটি দোকান আছে? শ্রমিক আছেন কতজন? তাঁদের কী অবস্থা?
মোহাম্মদ ইদ্রিস: চাক্তাই–খাতুনগঞ্জে প্রায় ৫ হাজার দোকান রয়েছে। আর প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে কাজ করেন। লকডাউনে অস্থায়ী শ্রমিকেরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। এই পাইকারি বাজারের শ্রমিকেরা সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা থেকেও বঞ্চিত।
প্রশ্ন: আমদানিকারকদের কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে?
মোহাম্মদ ইদ্রিস: চাক্তাই–খাতুনগঞ্জে সব পণ্যই আমদানির করা। পণ্যের ঘাটতি না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই চালান প্রবেশ করতে পারছে না। প্রায় প্রত্যেক গুদামই মালামালে ভরপুর। বিক্রি না হলে নতুন মাল আসবে কীভাবে। অর্থাৎ পণ্য বিক্রি না হওয়ার প্রভাব পড়ছে আমদানিকারকদের ওপর, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা।