Ajker Patrika
হোম > ইসলাম

কসম কীভাবে করতে হয়

মাওলানা ইসমাইল নাজিম

কসম কীভাবে করতে হয়

ইসলামে কসম বা শপথ করার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে কসম করা গুনাহের কাজ। কসম শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো, ‘আল্লাহ’ নাম নিয়ে বা তাঁর গুণবাচক নাম নিয়ে কসম করা। আল্লাহর ইজ্জতের কসম, আল্লাহর মর্যাদার কসম—এ-জাতীয় শব্দের মাধ্যমেও কসম করা যেতে পারে। তবে আল্লাহর ইলমের কসম, আল্লাহর রাগের কসম, আল্লাহর রহমতের কসম—এ-জাতীয় কসম শুদ্ধ নয়।

যদি কেউ কোরআনের কসম খায়, তাহলে সেটা কসম বলে বিবেচিত হবে। যদি এভাবে বলে যে কোরআনের কসম, কালামুল্লাহর কসম অথবা কোরআনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলল, এই কোরআনে যে আল্লাহর কালাম আছে তার কসম, তাহলে কসম হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৫ / ৪৮৮)

আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে কসম করা জায়েজ নয়। যদি কেউ এ-জাতীয় কসম করে, তাহলে তা কসম হিসেবে গণ্যও হবে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ কসম করলে সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে। অন্যথায় সে চুপ থাকে।’ (তিরমিজি: ১৫৩৪) অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘যে গাইরুল্লাহর নামে কসম করল, সে কুফর ও শিরক করল।’ (তিরমিজি: ১৫৩৫)

কসমের কয়েকটি প্রকার রয়েছে। যথা:

এক. অতীত বা বর্তমানকালের কোনো বিষয় সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কসম খাওয়া। এ ধরনের কসম করা কবিরা গুনাহ। এর কোনো কাফফারা নেই।

দুই. ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার ব্যাপারে কসম খাওয়া। যদি কসম ভঙ্গ করে তাহলে কাফফারা দিতে হবে।

তিন. কসমকারী অতীত বা বর্তমানকালের কোনো একটি বিষয়ে নিজের ধারণা অনুযায়ী সত্য মনে করে কসম করে অথচ বিষয়টি বাস্তবে তার ধারণা মোতাবেক নয়, বরং তার বিপরীত। এ ধরনের কসমে ক্ষমার আশা করা যায়। (বাদায়েউস সানায়ে: ৩ / ১৭)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

সেহরির তাৎপর্য, গুরুত্ব ও বিধান

রোজার নিয়ত করবেন যেভাবে

সৎকর্মের কল্যাণে বেঁচে ফেরা বনি ইসরাইলের ৩ নেককার

ইমাম মুসলিম: হাদিস সংকলন ও সংরক্ষণের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব

ইফতারের বিশেষ আদব ও দোয়া

ইমাম বুখারি: বিশুদ্ধ হাদিস সংকলনের শ্রেষ্ঠ কারিগর

দোলনায় যে শিশু মায়ের বিরোধিতা করেছিল

রোজাদারদের ইফতার করালে যে সওয়াব

চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা শুরু

যে ৫ শর্তে রমজানের রোজা রাখা ফরজ