কাউসার লাবীব
আধুনিক বিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ দেশ ব্রিটেন। এর ইতিহাস-ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে। এসবের পাশাপাশি দেশটির চোখ-ধাঁধানো স্থাপনা-স্থাপত্য পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণের জায়গা। বাকিংহাম প্যালেস, টাওয়ার অব লন্ডন, লন্ডন আই, টাওয়ার ব্রিজ, পিকাডিলি সার্কাস, ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ন্যাশনাল গ্যালারি, বিগ বেন ও হাউস অব পার্লামেন্টসহ বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখতে ভ্রমণ ও ইতিহাসপ্রিয় মানুষজন বিশ্বের নানা দেশ থেকে ভিড় জমায় ব্রিটেনে।
পর্যটকদের ভ্রমণ ও ঘোরাফেরা সহজ করতে সেখানে রয়েছে অসংখ্য ‘ট্যুর গাইড’ বা পর্যটকের পথপ্রদর্শক। তাঁরা ভ্রমণে যাওয়া ব্যক্তিদের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সমসাময়িক ঐতিহ্যের ওপর তথ্য সরবরাহ করেন। এই ট্যুর গাইডদের একজন ‘আবদুল মালেক টেলর।’ অন্য গাইডদের থেকে তাঁর আলাদা বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি ব্রিটেনে আসা পর্যটকদের মুসলিম ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্থাপনা-স্থান দেখিয়ে মুগ্ধ করেন।
আবদুল মালেক টেলর পর্যটকদের অন্যান্য ভ্রমণ স্পট দেখানোর পাশাপাশি ব্রিটেনে মুসলমানদের জীবনযাত্রার গল্প শোনান। ব্রিটিশ ইতিহাসে প্রভাব বিস্তার করা মুসলিম ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচনা করেন। এরপর লন্ডনে প্রথম ঈদের নামাজ হওয়ার স্থান, ব্রিটেনের প্রথম মুসলিম লর্ড-এর স্মৃতিবিজড়িত জায়গা, লন্ডনে তুর্কি মুসলিম পুলিশ সদস্যদের অবদান, উসমানীয় স্মৃতিবিজড়িত কামান, ট্রাফালগার স্কয়ার ও চ্যারিং ক্রস স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। পর্যটকেরা প্রত্যাশার বাইরের কিছুর সঙ্গে পরিচিত হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
টেলরই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ব্রিটেনে মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে পর্যটকদের পরিচয় করিয়ে দিতে এমন অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তাঁর তালিকায় মুসলিম স্মৃতিবিজড়িত ৫০টি ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, যেসব জায়গায় তিনি ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে যান।
ব্রিটেনে মুসলিমদের ইতিহাস সম্পর্কিত যেসব বিস্ময়কর ঘটনা তিনি আবিষ্কার করেন, তার মধ্যে অন্যতম লন্ডনে প্রথম ঈদের জামাতের গল্প। ১৮৯৪ সালে চিংফোর্ড এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ঈদের জামাত। তা আয়োজন করেছিল লন্ডনে অবস্থিত উসমানীয় সাম্রাজ্যের দূতাবাস এবং লন্ডনে বসবাস করা ভারত বর্ষের মুসলিমদের সংগঠন আঞ্জুমান-ই-ইসলাম।
টেলর বলেন, ‘এই তথ্য যখন আমি গবেষণা করে খুঁজে পাই, তখন চমকে উঠি; আরে আমি তো এই স্থানের কাছেই বেড়ে উঠেছি। কিন্তু এর আগে কখনো এই তথ্য শুনিনি। আমি যখন এটা স্থানীয় মেয়রকে বলি, তিনিও অবাক হন।’
যেখানে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল—টেলরের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় সেখানে এখন একটি নীল রঙের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সেই জায়গা এখন পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
টেলর ব্রিটেনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানের ইতিহাস সামনে আনেন। তা হলো পার্লামেন্ট ভবন। যেখানে মুসলিমদের ইতিহাস সম্পর্কিত কিছু রোমাঞ্চকর কাহিনি পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হলো লর্ড হেনরি স্ট্যানলি, যিনি ব্রিটেনে প্রথম মুসলিম লর্ড এবং প্রথম মুসলিম সংসদ সদস্য।
হেনরি স্ট্যানলি যখন ইস্তাম্বুলে একজন কূটনীতিক হিসেবে কাজ করছিলেন, তখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। নিজের নতুন নাম রাখেন আবদুর রহমান।
ট্যুর গাইড আবদুল মালেক টেলরের আকর্ষণীয় এই উদ্যোগ স্থানীয় ব্রিটিশ এবং সেখানে আসা পর্যটকদের কাছে ব্রিটেনে মুসলিম ঐতিহ্যকে নতুনভাবে পরিচিত করে তুলছে।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
আধুনিক বিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ দেশ ব্রিটেন। এর ইতিহাস-ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে। এসবের পাশাপাশি দেশটির চোখ-ধাঁধানো স্থাপনা-স্থাপত্য পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণের জায়গা। বাকিংহাম প্যালেস, টাওয়ার অব লন্ডন, লন্ডন আই, টাওয়ার ব্রিজ, পিকাডিলি সার্কাস, ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ন্যাশনাল গ্যালারি, বিগ বেন ও হাউস অব পার্লামেন্টসহ বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখতে ভ্রমণ ও ইতিহাসপ্রিয় মানুষজন বিশ্বের নানা দেশ থেকে ভিড় জমায় ব্রিটেনে।
পর্যটকদের ভ্রমণ ও ঘোরাফেরা সহজ করতে সেখানে রয়েছে অসংখ্য ‘ট্যুর গাইড’ বা পর্যটকের পথপ্রদর্শক। তাঁরা ভ্রমণে যাওয়া ব্যক্তিদের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সমসাময়িক ঐতিহ্যের ওপর তথ্য সরবরাহ করেন। এই ট্যুর গাইডদের একজন ‘আবদুল মালেক টেলর।’ অন্য গাইডদের থেকে তাঁর আলাদা বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি ব্রিটেনে আসা পর্যটকদের মুসলিম ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্থাপনা-স্থান দেখিয়ে মুগ্ধ করেন।
আবদুল মালেক টেলর পর্যটকদের অন্যান্য ভ্রমণ স্পট দেখানোর পাশাপাশি ব্রিটেনে মুসলমানদের জীবনযাত্রার গল্প শোনান। ব্রিটিশ ইতিহাসে প্রভাব বিস্তার করা মুসলিম ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচনা করেন। এরপর লন্ডনে প্রথম ঈদের নামাজ হওয়ার স্থান, ব্রিটেনের প্রথম মুসলিম লর্ড-এর স্মৃতিবিজড়িত জায়গা, লন্ডনে তুর্কি মুসলিম পুলিশ সদস্যদের অবদান, উসমানীয় স্মৃতিবিজড়িত কামান, ট্রাফালগার স্কয়ার ও চ্যারিং ক্রস স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। পর্যটকেরা প্রত্যাশার বাইরের কিছুর সঙ্গে পরিচিত হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
টেলরই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ব্রিটেনে মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে পর্যটকদের পরিচয় করিয়ে দিতে এমন অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তাঁর তালিকায় মুসলিম স্মৃতিবিজড়িত ৫০টি ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, যেসব জায়গায় তিনি ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে যান।
ব্রিটেনে মুসলিমদের ইতিহাস সম্পর্কিত যেসব বিস্ময়কর ঘটনা তিনি আবিষ্কার করেন, তার মধ্যে অন্যতম লন্ডনে প্রথম ঈদের জামাতের গল্প। ১৮৯৪ সালে চিংফোর্ড এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ঈদের জামাত। তা আয়োজন করেছিল লন্ডনে অবস্থিত উসমানীয় সাম্রাজ্যের দূতাবাস এবং লন্ডনে বসবাস করা ভারত বর্ষের মুসলিমদের সংগঠন আঞ্জুমান-ই-ইসলাম।
টেলর বলেন, ‘এই তথ্য যখন আমি গবেষণা করে খুঁজে পাই, তখন চমকে উঠি; আরে আমি তো এই স্থানের কাছেই বেড়ে উঠেছি। কিন্তু এর আগে কখনো এই তথ্য শুনিনি। আমি যখন এটা স্থানীয় মেয়রকে বলি, তিনিও অবাক হন।’
যেখানে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল—টেলরের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় সেখানে এখন একটি নীল রঙের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সেই জায়গা এখন পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
টেলর ব্রিটেনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানের ইতিহাস সামনে আনেন। তা হলো পার্লামেন্ট ভবন। যেখানে মুসলিমদের ইতিহাস সম্পর্কিত কিছু রোমাঞ্চকর কাহিনি পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হলো লর্ড হেনরি স্ট্যানলি, যিনি ব্রিটেনে প্রথম মুসলিম লর্ড এবং প্রথম মুসলিম সংসদ সদস্য।
হেনরি স্ট্যানলি যখন ইস্তাম্বুলে একজন কূটনীতিক হিসেবে কাজ করছিলেন, তখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। নিজের নতুন নাম রাখেন আবদুর রহমান।
ট্যুর গাইড আবদুল মালেক টেলরের আকর্ষণীয় এই উদ্যোগ স্থানীয় ব্রিটিশ এবং সেখানে আসা পর্যটকদের কাছে ব্রিটেনে মুসলিম ঐতিহ্যকে নতুনভাবে পরিচিত করে তুলছে।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
শরিয়ত-সমর্থিত কোনো অপারগতা ছাড়া রমজান মাসে রোজা না রাখলে বা ভেঙে ফেললে কাজা ও কাফফারা উভয়টিই আদায় করতে হয়। কাজা মানে বকেয়া। আর কাফফারা মানে জরিমানা।
১৩ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৭০৩)
২ দিন আগেপবিত্র রমজানে শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতার কারণে রোজা ভাঙা বা না রাখার বিধান রয়েছে। শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতা হলো, নারীদের ঋতুস্রাব ও প্রসব-পরবর্তী স্রাবকাল, সফর, রোজার কারণে প্রাণনাশের আশঙ্কা, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির ভয়, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ইত্যাদি।
২ দিন আগেসদ্য বিদায় নিল মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাস শেষে এখন চলছে শাওয়াল মাস। এ মাসের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে—এর মধ্যে অন্যতম ছয়টি নফল রোজা। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, এই রোজাগুলো রাখলে মিলবে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব। নবী করিম (সা.) নিজে এই রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদেরও নির্দেশ দিতেন।
৪ দিন আগে