ইসলাম ডেস্ক
সামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
কেউ দাওয়াত দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তার কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.) এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।
আবুল হাইসাম (রা.) একবার নবী করিম (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে নবীজি (সা.) বললেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তাঁরা বললেন, আমরা তাঁকে কীভাবে সওয়াব দান করব? তিনি বললেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে, তখন পানাহার করার পর সে যদি মেজবানের জন্য (নিমন্ত্রণকারীর জন্য) দোয়া করে তাহলে সেটিই হবে মেজবানের জন্য সওয়াব পৌঁছানো।
মহানবী (সা.) একবার সাদ বিন উবাদা (রা.)-এর ঘরে দাওয়াত খেয়ে দোয়া করেছেন, ‘আকালা তা-আমাকুমুল আবরার, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা, ওয়া আফতারা ইনদাকুমুস সা-ইমুন।’
অর্থ: ‘আল্লাহ এমন করুন যেন (এমনভাবে) নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করে এবং রোজাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে এই দোয়া করেছেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রাজাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৭৬)
সামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
কেউ দাওয়াত দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তার কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.) এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।
আবুল হাইসাম (রা.) একবার নবী করিম (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে নবীজি (সা.) বললেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তাঁরা বললেন, আমরা তাঁকে কীভাবে সওয়াব দান করব? তিনি বললেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে, তখন পানাহার করার পর সে যদি মেজবানের জন্য (নিমন্ত্রণকারীর জন্য) দোয়া করে তাহলে সেটিই হবে মেজবানের জন্য সওয়াব পৌঁছানো।
মহানবী (সা.) একবার সাদ বিন উবাদা (রা.)-এর ঘরে দাওয়াত খেয়ে দোয়া করেছেন, ‘আকালা তা-আমাকুমুল আবরার, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালাইকা, ওয়া আফতারা ইনদাকুমুস সা-ইমুন।’
অর্থ: ‘আল্লাহ এমন করুন যেন (এমনভাবে) নেককার লোকেরা তোমাদের খানা খায় এবং ফেরেশতাগণ যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করে এবং রোজাদারগণ যেন তোমাদের বাড়িতে ইফতার করে।’ (সুনানে আবু দাউদ)
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে এই দোয়া করেছেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রাজাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৭৬)
শরিয়ত-সমর্থিত কোনো অপারগতা ছাড়া রমজান মাসে রোজা না রাখলে বা ভেঙে ফেললে কাজা ও কাফফারা উভয়টিই আদায় করতে হয়। কাজা মানে বকেয়া। আর কাফফারা মানে জরিমানা।
১২ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৭০৩)
১ দিন আগেপবিত্র রমজানে শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতার কারণে রোজা ভাঙা বা না রাখার বিধান রয়েছে। শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতা হলো, নারীদের ঋতুস্রাব ও প্রসব-পরবর্তী স্রাবকাল, সফর, রোজার কারণে প্রাণনাশের আশঙ্কা, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির ভয়, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ইত্যাদি।
২ দিন আগেসদ্য বিদায় নিল মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাস শেষে এখন চলছে শাওয়াল মাস। এ মাসের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে—এর মধ্যে অন্যতম ছয়টি নফল রোজা। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, এই রোজাগুলো রাখলে মিলবে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব। নবী করিম (সা.) নিজে এই রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদেরও নির্দেশ দিতেন।
৩ দিন আগে