তাসলিমা জাহান
ভ্রমণ মানে নতুনকে জানা, অজানাকে দেখা। মানসিক প্রশান্তি ও অভিজ্ঞতা অর্জনের অন্যতম উপায় ভ্রমণ। এর মাধ্যমে মানুষ প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হয়। ভ্রমণে শেখার থাকে অনেক কিছু। তবে সঠিক পরিকল্পনা আর নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন থাকলে ভ্রমণ হয়ে ওঠে আরও উপভোগ্য ও অর্থবহ। ভ্রমণ বা সফর নিরাপদ ও উপভোগ্য করতে আমরা নবী করিম (সা.)-এর ভ্রমণ বা সফরকে অনুসরণ করতে পারি।
নবী করিম (সা.) সাধারণত বৃহস্পতিবার সফরে বের হতেন। কাব ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তাবুক অভিযানে বৃহস্পতিবার বের হন। আর তিনি বৃহস্পতিবার সফরে বের হওয়া পছন্দ করতেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৯৯৯)
এ ছাড়া তিনি একাকী ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতেন। দলবদ্ধ ভ্রমণ উৎসাহিত করতেন। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যদি লোকেরা জানত—একাকী সফরে কী ক্ষতি রয়েছে যা আমি জানি, তাহলে কোনো আরোহী রাতের বেলায় একাকী সফরে বের হতো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৯৯৮)
অন্য এক হাদিসে বলেন, ‘(সফরে) সর্বোত্তম সঙ্গী হলো চারজন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৬১১)
ভ্রমণে দলপতি নির্ধারণ করে চলার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তিন ব্যক্তি সফরে বের হবে, তখন তারা যেন তাদের একজনকে আমির (দলপ্রধান) বানিয়ে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৬০৮)
আল্লাহর রহমত ও নিরাপত্তা যেন পাশে থাকে সে জন্য সফরের সময় দোয়া পড়ে বের হতেন নবী করিম (সা.)। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) তাঁর দেখানো সেই নির্দেশনা মেনে চলতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কোথাও সফরের উদ্দেশে তার উটে আরোহণের সময় তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন, এরপর এই দোয়াটি পাঠ করতেন, ‘সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফি সাফারিনা হাজাল বিররা ওয়াত তাকওয়া। ওয়া মিনাল আমালি মা তারদা। আল্লাহুম্মা হাওয়িন আলাইনা সাফারানা হাজা ওয়াত্উই আন্না বু’দাহু। আল্লাহুম্মা আনতাস সাহিবু ফিস সাফারি ওয়াল খালিফাতু ফিল আহলি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ওয়াছাইস সাফারি ওয়া কাআবাতিল মানজারি ওয়া সুইল মুনকালাবি ফিল মালি ওয়াল আহলি।’
অর্থ: ‘পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ, এ সফরে আমরা তোমার নিকট কল্যাণ, তাকওয়া এবং তোমার সন্তুষ্টি অর্জন হয় এমন কাজের সামর্থ্য চাই। হে আল্লাহ, আমাদের এ সফর সহজ করে দাও এবং এর দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ, তুমিই (আমাদের) সফরসঙ্গী এবং পরিবারের তত্ত্বাবধানকারী। হে আল্লাহ, তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক দৃশ্য এবং ফিরে এসে সম্পদ ও পরিবারের ক্ষতিকর পরিবর্তন থেকে।’
এরপর তিনি যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন তখনো উপরিউক্ত দোয়া পড়তেন এবং এর সঙ্গে যুক্ত করতেন, ‘আইবুনা তাইবুনা আবিদুনা লিরাব্বিনা হামিদুন।’ অর্থ: ‘আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, আমাদের প্রতিপালকের ইবাদতকারী ও প্রশংসাকারী।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৪২)
নবী করিম (সা.) যখন সফর থেকে ফিরতেন, তখন প্রথমে মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন, তারপর পরিবারের কাছে যেতেন। (সহিহ্ মুসলিম: ৭১৬)
প্রিয় নবী (সা.) এর সুন্নত মেনে হোক আমাদের ভ্রমণ। ভ্রমণ পরিণত হোক ইবাদতে।
ভ্রমণ মানে নতুনকে জানা, অজানাকে দেখা। মানসিক প্রশান্তি ও অভিজ্ঞতা অর্জনের অন্যতম উপায় ভ্রমণ। এর মাধ্যমে মানুষ প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হয়। ভ্রমণে শেখার থাকে অনেক কিছু। তবে সঠিক পরিকল্পনা আর নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন থাকলে ভ্রমণ হয়ে ওঠে আরও উপভোগ্য ও অর্থবহ। ভ্রমণ বা সফর নিরাপদ ও উপভোগ্য করতে আমরা নবী করিম (সা.)-এর ভ্রমণ বা সফরকে অনুসরণ করতে পারি।
নবী করিম (সা.) সাধারণত বৃহস্পতিবার সফরে বের হতেন। কাব ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তাবুক অভিযানে বৃহস্পতিবার বের হন। আর তিনি বৃহস্পতিবার সফরে বের হওয়া পছন্দ করতেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৯৯৯)
এ ছাড়া তিনি একাকী ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতেন। দলবদ্ধ ভ্রমণ উৎসাহিত করতেন। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যদি লোকেরা জানত—একাকী সফরে কী ক্ষতি রয়েছে যা আমি জানি, তাহলে কোনো আরোহী রাতের বেলায় একাকী সফরে বের হতো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৯৯৮)
অন্য এক হাদিসে বলেন, ‘(সফরে) সর্বোত্তম সঙ্গী হলো চারজন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৬১১)
ভ্রমণে দলপতি নির্ধারণ করে চলার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তিন ব্যক্তি সফরে বের হবে, তখন তারা যেন তাদের একজনকে আমির (দলপ্রধান) বানিয়ে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৬০৮)
আল্লাহর রহমত ও নিরাপত্তা যেন পাশে থাকে সে জন্য সফরের সময় দোয়া পড়ে বের হতেন নবী করিম (সা.)। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) তাঁর দেখানো সেই নির্দেশনা মেনে চলতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কোথাও সফরের উদ্দেশে তার উটে আরোহণের সময় তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন, এরপর এই দোয়াটি পাঠ করতেন, ‘সুবহানাল্লাজি সাখখারা লানা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনকালিবুন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফি সাফারিনা হাজাল বিররা ওয়াত তাকওয়া। ওয়া মিনাল আমালি মা তারদা। আল্লাহুম্মা হাওয়িন আলাইনা সাফারানা হাজা ওয়াত্উই আন্না বু’দাহু। আল্লাহুম্মা আনতাস সাহিবু ফিস সাফারি ওয়াল খালিফাতু ফিল আহলি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন ওয়াছাইস সাফারি ওয়া কাআবাতিল মানজারি ওয়া সুইল মুনকালাবি ফিল মালি ওয়াল আহলি।’
অর্থ: ‘পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। অবশ্যই আমাদের প্রতিপালকের নিকট ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ, এ সফরে আমরা তোমার নিকট কল্যাণ, তাকওয়া এবং তোমার সন্তুষ্টি অর্জন হয় এমন কাজের সামর্থ্য চাই। হে আল্লাহ, আমাদের এ সফর সহজ করে দাও এবং এর দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ, তুমিই (আমাদের) সফরসঙ্গী এবং পরিবারের তত্ত্বাবধানকারী। হে আল্লাহ, তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি সফরের কষ্ট, দুঃখজনক দৃশ্য এবং ফিরে এসে সম্পদ ও পরিবারের ক্ষতিকর পরিবর্তন থেকে।’
এরপর তিনি যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন তখনো উপরিউক্ত দোয়া পড়তেন এবং এর সঙ্গে যুক্ত করতেন, ‘আইবুনা তাইবুনা আবিদুনা লিরাব্বিনা হামিদুন।’ অর্থ: ‘আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, আমাদের প্রতিপালকের ইবাদতকারী ও প্রশংসাকারী।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৪২)
নবী করিম (সা.) যখন সফর থেকে ফিরতেন, তখন প্রথমে মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন, তারপর পরিবারের কাছে যেতেন। (সহিহ্ মুসলিম: ৭১৬)
প্রিয় নবী (সা.) এর সুন্নত মেনে হোক আমাদের ভ্রমণ। ভ্রমণ পরিণত হোক ইবাদতে।
শরিয়ত-সমর্থিত কোনো অপারগতা ছাড়া রমজান মাসে রোজা না রাখলে বা ভেঙে ফেললে কাজা ও কাফফারা উভয়টিই আদায় করতে হয়। কাজা মানে বকেয়া। আর কাফফারা মানে জরিমানা।
১৩ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৭০৩)
২ দিন আগেপবিত্র রমজানে শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতার কারণে রোজা ভাঙা বা না রাখার বিধান রয়েছে। শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতা হলো, নারীদের ঋতুস্রাব ও প্রসব-পরবর্তী স্রাবকাল, সফর, রোজার কারণে প্রাণনাশের আশঙ্কা, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির ভয়, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ইত্যাদি।
২ দিন আগেসদ্য বিদায় নিল মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই মাস শেষে এখন চলছে শাওয়াল মাস। এ মাসের বিশেষ কিছু আমল রয়েছে—এর মধ্যে অন্যতম ছয়টি নফল রোজা। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, এই রোজাগুলো রাখলে মিলবে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব। নবী করিম (সা.) নিজে এই রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদেরও নির্দেশ দিতেন।
৪ দিন আগে