হোম > জীবনধারা > মানসিক স্বাস্থ্য

নিজেকে নিরপেক্ষভাবে বিচার করুন

ডা. ফারজানা রহমান

প্রথমেই বলি, প্রত্যেক মানুষের জীবনের যেকোনো পর্যায়ে এমন সময় আসে। ব্যক্তিগত ব্যাপার, সম্পর্কের জটিলতা, শিক্ষা বা চাকরির ক্ষেত্রে বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি অথবা প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মেলবন্ধন না হলে সাময়িকভাবে সবকিছুই এ রকম নেতিবাচক মনে হতে পারে।

তবে এ সমস্যাগুলো যদি দিনের বেশির ভাগ সময় থাকে এবং একনাগাড়ে দুই সপ্তাহের বেশি থাকে আর এসবের সঙ্গে যদি মেজাজ খারাপ, ঘুমের সমস্যা, কোনো কিছু ভালো না লাগা বা আত্মহত্যার চিন্তা যোগ হয়, তাহলে তা বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশনের সতর্কসংকেতও হতে পারে। 

আপনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে, বিশেষ করে যার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক একটু বেশি ভালো, তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। আপনি তাঁকে বা তাঁদের জানান, তাঁদের এই নির্লিপ্ত আচরণে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন।

আপনার জন্য পরামর্শ হলো, নিজেকে একটু নিরপেক্ষভাবে বিচার করে দেখুন। আপনি কি ক্রমাগত এমন কোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে পরিবারের মানুষ আপনার প্রতি বিরক্ত? অথবা আপনার ব্যক্তিত্ব বা আচরণে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, সেটিও খেয়াল করে দেখুন।

তবে আপনি আন্তরিকভাবে চাইছেন পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতে। এ ক্ষেত্রে আমি বলব, আপনি একটা জগৎ তৈরি করুন। পড়াশোনা বা চাকরির পাশাপাশি আপনার ভালো লাগে এমন কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।

খুব সমস্যা মনে হলে কোনো মনস্তত্ত্ববিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

রাগ থেকে নিজেকে আঘাত করাটা কি কোনো রকমের মানসিক সমস্যা

হতাশ লাগলে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

ভালো থাকতে নিজেকে সময় দিন

নিজেকে সময় দিন

পারিবারিক সম্পর্কের দূরত্ব দূর করুন

প্রসব-পরবর্তী বিষণ্নতায় যা করতে হবে

নিজের মনের কথা শোনাই ভালো

প্রয়োজনে প্রতিবাদ করার সাহস অর্জন জরুরি

মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের প্রতি এমন উপেক্ষা দুঃখজনক

হবু মায়ের জীবনযাপনে যোগব্যায়াম

সেকশন