Ajker Patrika
হোম > পথের কথা

‘শাহি নাশতা’ বিক্রি করে কাটে শুক্কুর আলীর দিন 

আনিসুর রহমান খান, দাউদকান্দি 

‘শাহি নাশতা’ বিক্রি করে কাটে শুক্কুর আলীর দিন 

একসময় রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন শুক্কুর আলী। এখন তাঁর দিন কাটে পথে পথে ভ্যানে করে শাহি নাশতা বিক্রি করে। কাজ করার একপর্যায়ে দুই বছর আগে খিঁচুনি উঠে অজ্ঞান হয়ে গরম কড়াইয়ের ওপর পড়ে যান তিনি। তখন গলা, ঘাড়, চোখ এবং কানের অনেকখানি পুড়ে যায়। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরেন শুক্কুর আলী। 

শুক্কুর আলী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ফরাজীকান্দি গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারের পাশে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন। গ্রামের বাড়িতে ঘরবাড়ি জমি-জমা নেই বলে জানান শুক্কুর আলী। মা এবং পাঁচ ভাই-বোন নিয়ে যখন দিশেহারা তখন একটি ভ্যানে করে সকালের নাশতা (তাঁর ভাষায় শাহি নাশতা) বিক্রির কাজ শুরু করেন। গৌরীপুর বাজারের আশপাশের এলাকায় ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে সকালের নাশতা বিক্রি করেন তিনি। 

শুক্কুর আলী জানান, প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা বিক্রি হয় তাঁর। এতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা লাভ থাকে। এ দিয়ে চলে তার সংসারের যাবতীয় খরচ। 

তবে আর বেশি দিন এই কাজ করতে চান না শুক্কুর আলী। তিনি জানান, টাকা সঞ্চয় করে একটি দোকান দিয়ে বসবেন। পরে বিয়ে করে সংসার পাতবেন। 

এ প্রসঙ্গে শুক্কুর আলী বলেন, `গরিবের ঘরে জন্ম হয়েছে কষ্ট তো আমাকে করতেই হবে। ভিক্ষা করা আমার পছন্দ নয়। আমি কাজ করেই খেতে চাই।' 

চুম্বকে চলছে শেফালীর জীবিকা

লাগামহীন দ্রব্যমূল্য: কেমন আছেন খেটে খাওয়া মানুষ

দার্জিলিংয়ের সেই গোমড়ামুখো চালক

‘ঘরপোড়া গরু সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’

 ‘চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে গেলে’

বরই বেচে ভাত জোটে না দেলোয়ারের

দুর্গম পাহাড়ি পথে ভরসা বাবুল বড়ুয়া

টিয়া পাখির বাচ্চার প্রাণ বাঁচানো লিয়নকে বাঁচাবে কে

দুই কিডনিই বিকল, মেয়েকে বাঁচাতে প্রবাসী কর্মী মা এখন অটোরিকশা চালক

সত্তরোর্ধ্ব হাসেমের কাঁধে দিনভর আইসক্রিমের বাক্স, তবুও বুড়ো-বুড়ির সংসারে টানাটানি