ইশতিয়াক হাসান
হঠাৎ মনে পড়ে গেল বাবুল ভাইয়ের কথা। অনেক দিন পর ফোন দিলাম তাঁকে। ও প্রান্ত থেকে ভেসে এল তাঁর পরিচিত কণ্ঠস্বর। হাসি-খুশি চেহারাটা ভেসে উঠল মনের পর্দায়। সেই সঙ্গে মনে পড়ে গেল বাবুল ভাইকে নিয়ে রোমাঞ্চকর ও আনন্দময় এক পাহাড় ভ্রমণের কথা।
কিন্তু বাবুল ভাই মানুষটা কে? আমি জানলেও তাঁর সঙ্গে আপনাদের তো চিন-পরিচয় নেই। তাহলে বরং প্রিয় বাবুল ভাইয়ের গল্পটা শুরু করি।
বাবুল ভাইয়ের পুরো নাম বাবুল বড়ুয়া। রুমা থেকে কেওক্রাডংয়ে যাওয়ার পথে এক অভিযানে ছিলেন তিনি আমাদের গাইড। বলা চলে, এই ভালো মানুষটি না থাকলে আমাদের সেই ভ্রমণ শেষ না করেই হয়তো ফিরে আসতে হতো। কিংবা কষ্টটা অনেক বেশি হতো।
২০২০-এর নভেম্বরের ঘটনা। বান্দরবানের রুমার কেওক্রাডং পর্বতে যাব। দলে পঞ্চাশে পৌঁছানো নারী থেকে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু সবই আছে। আমি ছাড়া দলে আছে স্ত্রী পুনম, মেয়ে ওয়াফিকা, এক সময়কার প্রতিবেশী রুথি-রাফা, চাচাতো বোন নাজিফা, ওর স্বামী মহিউদ্দীন এবং আমার খালাশাশুড়ি মুনা খালামণি। যেহেতু দলের অনেকেরই ট্র্যাকিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই, একজন ভালো গাইড দরকার। ওই রুটে বেশ নাম কামানো একজন গাইডের সঙ্গে কথা বললাম সঙ্গী হতে। দলে শিশু আর নারীর আধিক্য জেনে পিছু হটলেন।
তারপর আরেকজন গাইডের শরণাপন্ন হলাম। শুরুতে কথা-বার্তা ভালো লাগল, তবে একপর্যায়ে তিনিও আগের জনের দলে ভিড়ে গেলেন! বললেন, বাচ্চা আর নারী নিয়ে গেলে হ্যাপা বেশি! মাফ করে দিতে হবে তাঁকে!
এ সময়ই সৌভাগ্যক্রমে কানে এল বাবুল ভাইয়ের নাম। পরিচিত কয়েকজনই জানালেন, বড় ভালো মানুষ তিনি। ফোন দিয়েই বুঝলাম এই বাবুল বড়ুয়া লোকটি অন্য ধাতুতে গড়া। বললেন, আপনার মেয়ের টেনশন আমার। মামণিরে কাঁধে করে নিমু! ওয়াফিকা ছোট হলেও হাঁটতে পারে ভালো, আট মাস বয়স থেকে পাহাড়ে ঘোরাঘুরি শুরু ওর। তার পরও গাইডের কথায় নির্ভার হলাম।
রুমায় পৌঁছার পর বাবুল ভাই মানুষটিকে আরও ভালোভাবে আবিষ্কার করলাম। এমন নিঃস্বার্থ, পরোপকারী মানুষ খুব বেশি দেখিনি। বগা লেক থেকে কেওক্রাডংয়ে যাওয়ার পথটা আমার ও পুনমের কিংবা নাজিফা-মহিউদ্দীনের জন্য খুব কঠিন ছিল না। তবে দলে ছিলেন মুনা খালামণি এবং কখনো পাহাড়ে না চড়া রুথি-রাফা।
বাবুল ভাইয়ের কল্যাণে ওদের নিয়ে আমার টেনশন করতে হলো না এক বিন্দু। ওয়াফিকাকে নিয়ে সবার শঙ্কা ছিল। দেখা গেল পাহাড় বাইছে সে পাহাড়ি শিশুদের মতো, তরতরিয়ে। কিন্তু মুনা খালামণি, রুথি-রাফার বাবুল ভাই না থাকলে পিচ্ছল পাথুরে পথ পেরিয়ে চিংড়ি ঝরনা দেখতে যাওয়া হতো না। হাত দিয়ে ধরে ধরে এদের তিনজনকে ঝরনার কাছে নিয়ে গেছেন তিনি।
নড়বড়ে সেতু, সেখানেও সহায় বাবুল ভাই। শুধু তাই নয়, যখনই চড়াই বেয়ে ওঠার সময় ওরা হাঁসফাঁস করছিল, বাবুল ভাই সাহায্য করছিলেন তাদের তিনজনের ব্যাগ টানতেও। পরে জানতে পারি, পায়ের পুরোনো একটি ব্যথা বেশ কষ্ট দিচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু নিজের সমস্যা বুঝতে দেননি আমাদের একটুও।
কথায় আছে ঘোড়া দেখলে খোঁড়া! পরিস্থিতি এমন হয়েছিল, একটু ঢাল দেখলেই রুথি দাঁড়িয়ে পড়ে চিৎকার জুড়ে দিত বাবুল ভাই, হেল্প হেল্প! ওয়াফিকা পাহাড় ভালো বাইলেও যখনই ক্লান্ত হতো বলত, গাইড আংকেল পারছি না। ব্যাস আর যায় কোথায়! আমাদের মানা না শুনেই কাঁধে তুলে নিতেন ওকে।
দার্জিলিং পাড়া, কেওক্রাডং, বগা লেক—সব জায়গায়ই আমাদের সুযোগ-সুবিধার দিকেই ছিল তাঁর কড়া নজর। এমনকি কেউ রাতে ঘুম ভেঙে বের হলে সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে যেন টের পেয়ে যেতেন। পাশের রুম থেকে বের হয়ে এসে জানতে চাইতেন কিছু দরকার কি না। কিংবা দূরের টয়লেটে একা যেতে পারব কি না! অবস্থা এমন হয়েছিল, রাতে ঘুমের মধ্যেও ওয়াফিকা দার্জিলিং পাড়ায় চেঁচাচ্ছিল—আংকেল বাঁচাও!
বাবুল ভাইয়ের সঙ্গে আলাপও হয়েছে চলার পথে বিস্তর। পাহাড়ের রহস্যময় কিং কোবরা, যে পাহাড় বন্যপ্রাণী শিকারিরা এড়িয়ে চলে, পুরোনো দিনের রুমা এমন পাহাড়ের কত্তো গল্প বলে যে মন জুড়িয়েছেন!
যাক, আবার বর্তমানে ফিরে আসি। বাবুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে মনটা একটু খারাপ হলো। আপাতত রুমা থেকে বগা লেক ও কেওক্রাডংয়ের পথে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে। তাতে বাবুল ভাইসহ অন্য গাইডরা আছেন বেশ সমস্যায়। বাবুল ভাইয়ের এক ছেলে ওমানে থাকে। সে কিছু টাকা পাঠায়। সেই সঙ্গে নিজে টুকটাক কাজ করে নিজের আর স্ত্রীর খরচ ও ডিগ্রি পড়ুয়া আরেক ছেলের খরচ কোনোমতে চলে যায়। মেয়ের অবশ্য বিয়ে দিয়েছেন আগেই।
তার পরই হেসে বললেন, ‘সামনে এই পথ আবার খুলে দেবে। তখন ফোন দেব। এবার সরাসরি চান্দের গাড়িতে করেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন। আগের মতো হেঁটে যেতে চাইলেও সমস্যা নাই। মামণিরে কত দিন দেখি না।’
মোবাইল ফোনটা রেখে ভাবলাম, কেওক্রাডংয়ে গেলে চোখ বন্ধ করে সঙ্গী করব অবশ্যই প্রিয় বাবুল ভাইকে। পরিবার নিয়ে গেলে, সব মুশকিল আসান, সঙ্গে যদি থাকে বাবুল ভাই।
হঠাৎ মনে পড়ে গেল বাবুল ভাইয়ের কথা। অনেক দিন পর ফোন দিলাম তাঁকে। ও প্রান্ত থেকে ভেসে এল তাঁর পরিচিত কণ্ঠস্বর। হাসি-খুশি চেহারাটা ভেসে উঠল মনের পর্দায়। সেই সঙ্গে মনে পড়ে গেল বাবুল ভাইকে নিয়ে রোমাঞ্চকর ও আনন্দময় এক পাহাড় ভ্রমণের কথা।
কিন্তু বাবুল ভাই মানুষটা কে? আমি জানলেও তাঁর সঙ্গে আপনাদের তো চিন-পরিচয় নেই। তাহলে বরং প্রিয় বাবুল ভাইয়ের গল্পটা শুরু করি।
বাবুল ভাইয়ের পুরো নাম বাবুল বড়ুয়া। রুমা থেকে কেওক্রাডংয়ে যাওয়ার পথে এক অভিযানে ছিলেন তিনি আমাদের গাইড। বলা চলে, এই ভালো মানুষটি না থাকলে আমাদের সেই ভ্রমণ শেষ না করেই হয়তো ফিরে আসতে হতো। কিংবা কষ্টটা অনেক বেশি হতো।
২০২০-এর নভেম্বরের ঘটনা। বান্দরবানের রুমার কেওক্রাডং পর্বতে যাব। দলে পঞ্চাশে পৌঁছানো নারী থেকে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু সবই আছে। আমি ছাড়া দলে আছে স্ত্রী পুনম, মেয়ে ওয়াফিকা, এক সময়কার প্রতিবেশী রুথি-রাফা, চাচাতো বোন নাজিফা, ওর স্বামী মহিউদ্দীন এবং আমার খালাশাশুড়ি মুনা খালামণি। যেহেতু দলের অনেকেরই ট্র্যাকিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই, একজন ভালো গাইড দরকার। ওই রুটে বেশ নাম কামানো একজন গাইডের সঙ্গে কথা বললাম সঙ্গী হতে। দলে শিশু আর নারীর আধিক্য জেনে পিছু হটলেন।
তারপর আরেকজন গাইডের শরণাপন্ন হলাম। শুরুতে কথা-বার্তা ভালো লাগল, তবে একপর্যায়ে তিনিও আগের জনের দলে ভিড়ে গেলেন! বললেন, বাচ্চা আর নারী নিয়ে গেলে হ্যাপা বেশি! মাফ করে দিতে হবে তাঁকে!
এ সময়ই সৌভাগ্যক্রমে কানে এল বাবুল ভাইয়ের নাম। পরিচিত কয়েকজনই জানালেন, বড় ভালো মানুষ তিনি। ফোন দিয়েই বুঝলাম এই বাবুল বড়ুয়া লোকটি অন্য ধাতুতে গড়া। বললেন, আপনার মেয়ের টেনশন আমার। মামণিরে কাঁধে করে নিমু! ওয়াফিকা ছোট হলেও হাঁটতে পারে ভালো, আট মাস বয়স থেকে পাহাড়ে ঘোরাঘুরি শুরু ওর। তার পরও গাইডের কথায় নির্ভার হলাম।
রুমায় পৌঁছার পর বাবুল ভাই মানুষটিকে আরও ভালোভাবে আবিষ্কার করলাম। এমন নিঃস্বার্থ, পরোপকারী মানুষ খুব বেশি দেখিনি। বগা লেক থেকে কেওক্রাডংয়ে যাওয়ার পথটা আমার ও পুনমের কিংবা নাজিফা-মহিউদ্দীনের জন্য খুব কঠিন ছিল না। তবে দলে ছিলেন মুনা খালামণি এবং কখনো পাহাড়ে না চড়া রুথি-রাফা।
বাবুল ভাইয়ের কল্যাণে ওদের নিয়ে আমার টেনশন করতে হলো না এক বিন্দু। ওয়াফিকাকে নিয়ে সবার শঙ্কা ছিল। দেখা গেল পাহাড় বাইছে সে পাহাড়ি শিশুদের মতো, তরতরিয়ে। কিন্তু মুনা খালামণি, রুথি-রাফার বাবুল ভাই না থাকলে পিচ্ছল পাথুরে পথ পেরিয়ে চিংড়ি ঝরনা দেখতে যাওয়া হতো না। হাত দিয়ে ধরে ধরে এদের তিনজনকে ঝরনার কাছে নিয়ে গেছেন তিনি।
নড়বড়ে সেতু, সেখানেও সহায় বাবুল ভাই। শুধু তাই নয়, যখনই চড়াই বেয়ে ওঠার সময় ওরা হাঁসফাঁস করছিল, বাবুল ভাই সাহায্য করছিলেন তাদের তিনজনের ব্যাগ টানতেও। পরে জানতে পারি, পায়ের পুরোনো একটি ব্যথা বেশ কষ্ট দিচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু নিজের সমস্যা বুঝতে দেননি আমাদের একটুও।
কথায় আছে ঘোড়া দেখলে খোঁড়া! পরিস্থিতি এমন হয়েছিল, একটু ঢাল দেখলেই রুথি দাঁড়িয়ে পড়ে চিৎকার জুড়ে দিত বাবুল ভাই, হেল্প হেল্প! ওয়াফিকা পাহাড় ভালো বাইলেও যখনই ক্লান্ত হতো বলত, গাইড আংকেল পারছি না। ব্যাস আর যায় কোথায়! আমাদের মানা না শুনেই কাঁধে তুলে নিতেন ওকে।
দার্জিলিং পাড়া, কেওক্রাডং, বগা লেক—সব জায়গায়ই আমাদের সুযোগ-সুবিধার দিকেই ছিল তাঁর কড়া নজর। এমনকি কেউ রাতে ঘুম ভেঙে বের হলে সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে যেন টের পেয়ে যেতেন। পাশের রুম থেকে বের হয়ে এসে জানতে চাইতেন কিছু দরকার কি না। কিংবা দূরের টয়লেটে একা যেতে পারব কি না! অবস্থা এমন হয়েছিল, রাতে ঘুমের মধ্যেও ওয়াফিকা দার্জিলিং পাড়ায় চেঁচাচ্ছিল—আংকেল বাঁচাও!
বাবুল ভাইয়ের সঙ্গে আলাপও হয়েছে চলার পথে বিস্তর। পাহাড়ের রহস্যময় কিং কোবরা, যে পাহাড় বন্যপ্রাণী শিকারিরা এড়িয়ে চলে, পুরোনো দিনের রুমা এমন পাহাড়ের কত্তো গল্প বলে যে মন জুড়িয়েছেন!
যাক, আবার বর্তমানে ফিরে আসি। বাবুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে মনটা একটু খারাপ হলো। আপাতত রুমা থেকে বগা লেক ও কেওক্রাডংয়ের পথে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আছে পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কারণে। তাতে বাবুল ভাইসহ অন্য গাইডরা আছেন বেশ সমস্যায়। বাবুল ভাইয়ের এক ছেলে ওমানে থাকে। সে কিছু টাকা পাঠায়। সেই সঙ্গে নিজে টুকটাক কাজ করে নিজের আর স্ত্রীর খরচ ও ডিগ্রি পড়ুয়া আরেক ছেলের খরচ কোনোমতে চলে যায়। মেয়ের অবশ্য বিয়ে দিয়েছেন আগেই।
তার পরই হেসে বললেন, ‘সামনে এই পথ আবার খুলে দেবে। তখন ফোন দেব। এবার সরাসরি চান্দের গাড়িতে করেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন। আগের মতো হেঁটে যেতে চাইলেও সমস্যা নাই। মামণিরে কত দিন দেখি না।’
মোবাইল ফোনটা রেখে ভাবলাম, কেওক্রাডংয়ে গেলে চোখ বন্ধ করে সঙ্গী করব অবশ্যই প্রিয় বাবুল ভাইকে। পরিবার নিয়ে গেলে, সব মুশকিল আসান, সঙ্গে যদি থাকে বাবুল ভাই।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪