‘এই গুরাগারা (শিশু) পোলাপান, কাইন্দা কাইট্টা পয়সা আন, মায়রে বোলা আম্মাজান, তাড়াতাড়ি পয়সা দেন। তাড়াতাড়ি লইয়া যান মজার শনপাপড়ি।’
এভাবেই ছন্দে ছন্দে ঘণ্টি বাজিয়ে শনপাপড়ি বিক্রি করছেন ৬৩ বছরের আব্দুস সালাম তালুকদার। ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করা সালাম তালুকদার নিজেই তৈরি করেন এই বিশেষ মিষ্টান্ন। দীর্ঘ ৪৮ বছর যাবৎ মাথায় ফেরি করে শনপাপড়ি বিক্রি করেছেন তিনি।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা সালাম তালুকদার জেলার বিভিন্ন এলাকায় শনপাপড়ি বিক্রি করেন।
কথা বলে জানা যায়, তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জনক সালাম তালুকদার প্রতিদিন যা আয় করেন তা নিয়ে পরিবার পরিজনসহ ভালো আছেন।
নিজ হাতে তৈরি প্রতি কেজি শনপাপড়ি ৬শ টাকা দরে কেজি বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রি হয় বেশি। বিশেষ করে শিশু কিশোররা ১০ থেকে ২০ টাকার করে কিনে থাকে। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার শনপাপড়ি বিক্রি করেন সে।
চিনি, বুটের ডাল এবং পাউডার দুধ দিয়ে তৈরি করা এই শনপাপড়ি সকলের কাছেই জনপ্রিয়।
জীবনে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি নিয়ে তেমন কোনো আক্ষেপ নেই সালাম তালুকদারের। এই পর্যন্ত নিজ এলাকায় ১২ কাঠা (৩৬ শতাংশ) জমির একটি বাড়ি কেনার পাশাপাশি কিছু জমিও কিনেছেন এই শনপাপড়ি বিক্রির টাকা দিয়ে।
সালাম তালুকদারের মুখে মাঝে মাঝে কিছুটা কথা আটকে যায় এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে সে প্রতিবন্ধী ভাতা পান বলেও জানান তিনি।