পাপুয়া নিউগিনিকে ৭৭ রানে অলআউট করে জয়ের কাজটা অনেকটা সেরেই রেখেছিলেন উগান্ডার বোলাররা। তবে তাড়া করতে নেমে এই রানেও নাভিশ্বাস উঠে যায় প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে আসা উগান্ডার।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিজেদের ক্রিকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে উগান্ডা। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে তারা। ৩ উইকেটের জয়টি এনে দিয়েছেন রিয়াজাত আলি শাহ। ম্যাচ শেষে দলকে এমন স্মরণীয় মুহূর্ত এনে দেওয়াকে বিশেষ বলে জানিয়েছেন এই ব্যাটার।
গায়ানায় ৫৬ বলে ৩৩ রান করেছেন রিয়াজাত। তাঁর ইনিংস দেখে মনে হবে টি-টোয়েন্টি নয় ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। তবে লক্ষ্য অনুযায়ী ৫৮.৯৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি না খেললে উগান্ডার আর জয়োল্লাস করতে হতো না। ৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে টানা দ্বিতীয় হারের শঙ্কায় পড়েছিল তারা।
সেখান থেকে জুমা মিয়াজির (১৩) সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়ে শুধু ধাক্কাই সামলে নেননি, সঙ্গে প্রথম জয়ের কাজটাও সহজ করেছেন রিয়াজাত। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি। দলের জয়ের জন্য যখন ৩ রান প্রয়োজন, তখন আউট হয়ে যান তিনি। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার সুযোগ না হলেও ৩৩ রানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি ঠিকই পেয়েছেন তিনি।
ম্যাচ-সেরার পুরস্কার নিতে এসে জয়ের অনুভূতি এভাবে প্রকাশ করেছেন রিয়াজাত, ‘পিচে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। যখন ব্যাটিংয়ে নামি, তখন বেশ কিছু উইকেট হারিয়েছি। লক্ষ্যটা ছিল তখন অনেক দূরে। বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম জয়। এটা আমাদের জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত। এটা সত্যি অসাধারণ অনুভূতি। আমাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ।’