অনেকেই পাকিস্তানকে পেস বোলারদের আঁতুড়ঘর বলেন। সেটিও নিশ্চয়ই কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার কিংবা হালের শাহিন আফ্রিদিদের দেখেই। সে ঐতিহ্যের ধারক হতে প্রতিভার আলো জ্বালছেন অনেকেই। তাঁদের একজন ২৪ বছর বয়সী আকিফ জাভেদও। উমর গুল, জুনাইদ খান, শাহিন আফ্রিদির মতো বেড়ে উঠেছেন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনেই। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে আলো ছড়িয়ে দেশে ফিরেই আকিফের ডাক পড়ল চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের পাকিস্তান দলে।
হারিস রউফের চোটে কপাল খুলল উদীয়মান পেসার আকিফের। পিসিবি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া হারিসের চোট গুরুতর নয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগ পর্যন্ত তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি তো একটা থেকেই যায়, হারিস ফিট না হলে? এ জন্যই আকিফকেই প্রস্তুত রাখছে তারা।
বড় মঞ্চে খেলতে ঘরোয়া ক্রিকেটের পর এবার আকিফকে প্রমাণ করতে হবে আন্তর্জাতিক সার্কিটে—ত্রিদেশীয় সিরিজেই। ২০২৪-২৫ বিপিএলে যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, তাঁর কাছ থেকে দারুণ কিছু প্রত্যাশাই করতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৬.৮৯ ইকোনমিতে ১১ ম্যাচে আকিফের শিকার ২০ উইকেট, বোলিং গড় ১৪.৩০। গতি ও সুইংয়ের দুর্দান্ত সমন্বয়ে হারিসের মতো মাঝের ওভারে কার্যকরী হতে পারেন আকিফ।
আকিফের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৩ ম্যাচে ৫২ উইকেট, ৩০ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৩৩ উইকেট, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ ম্যাচে ৮৪ উইকেট, ইকোনমি ৮.২৩। হারিসের মতো মাঝের ওভারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন আকিফ।