ক্রীড়া ডেস্ক
শুরুর আগে অন্য রকম এক বিপিএল আয়োজনের কথা বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। স্পোর্টিং উইকেট দিয়ে প্রশংসা পেতেই পারে বিসিবি। যোগ করেছে কিছু নতুনত্বও। অন্যান্যবারের মতো কিছু বিতর্কও ছিল। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় দুর্বার রাজশাহীর অপেশাদার আচরণ। হোটেল বিল বকেয়া, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও দৈনিক ভাতা (ডিএ) সময় মতো না দেওয়া, চেক বাউন্সের খবরে সবচেয়ে বিতর্কিত দল তারাই।
পারিশ্রমিক না পাওয়ায় রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা একটা ম্যাচও বর্জন করেছিলেন। নিশ্চয়ই বিপিএলের জন্য এটি ভালো বার্তা নয়। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মানতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজও। তাঁর দাবি, এমন সব ঘটনা দেশের জন্য বদনাম বয়ে আনে। তবে দেশের নতুন পরিবেশে বিপিএলে এমন ঘটেছে বলছেন মিরাজ, ‘দেখেন, আমরা তো এ রকম পরিস্থিতির ভেতর কখনো পড়িনি। আর এটা প্রতিটা মানুষের জন্যই প্রথমবার। আপনাদের জন্যও কিন্তু প্রথমবার এমন পরিস্থিতি (নতুন) পরিবেশ। আপনারা যে অবস্থানে আছেন আমরাও সেই একই অবস্থানে আছি। প্রত্যেকটা মানুষই কিন্তু একটা পরিবেশের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটা মানুষেরই সমর্থন করা উচিত।’
বিপিএলের উদ্বোধনী দিন টিকিট না পেয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট ভেঙে ফেলেছিল উৎসুক সমর্থকেরা। সে প্রসঙ্গ টেনে মিরাজ বললেন, ‘কারণ দেখেন, গেট ভেঙে টিকিট পাচ্ছে না, খেলা দেখছে। দেখুন একটা নতুন কোনো পরিবেশ যদি আসে, সেটা কিন্তু কঠিন হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ পাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যে সমস্যাগুলো হচ্ছে, আশা করি আমাদের যারা ক্রিকেট বোর্ডে আছে, যারা দায়িত্বে আছে, তারা এটা সুন্দরভাবে সামলে নেবে।’
দুর্বার রাজশাহীর অপেশাদার আচরণ দেখছেন মিরাজরাও। বিতর্কিত এসব ঘটনা দেশের বদনাম হবে উল্লেখ করে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘দিন শেষে কিন্তু আমাদেরই সবার বদনাম হবে। আমরা যদি এ জিনিসগুলো ঠিকঠাক মতো মেনটেইন না করি, ঠিকঠাক ইউটিলাইজ না করতে পারি; তাহলে দিন শেষে আমাদের ক্রিকেটের জন্য বদনাম হবে। সবার বদনাম হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব এটা, যেন আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের কোনোরকম বদনাম না হয়। আমরা খুব সুন্দরভাবে যেভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলছি, বিশ্বে আমরা ভালো করলে বাহবা দেয়; সে জিনিসটা আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের দায়িত্ব বজায় রাখা।’