টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ছুটছে ফাইনালের দিকে। আজ গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে তাদের ফাইনালের বাধা ইংল্যান্ড। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে দলের জন্য অবদান রেখে বিরাট কোহলির সামনে সুযোগ বাবর আজমের পাশে বসার এবং ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২০১০ সালের জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় কোহলির। তার ৬ বছর পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় বাবরের। পাকিস্তান অধিনায়কের যখন অভিষেক হয় তখন টি-টোয়েন্টিতে কোহলির রান ছিল ১৬৫৭।
বেশ পিছিয়ে থেকেও পরবর্তীতে কোহলিকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন বাবর। ১২৩ ম্যাচে ১১৬ ইনিংসে ৪১৪৫ রান পাকিস্তান অধিনায়কের। ৩ সেঞ্চুরি ও ৩৬ ফিফটির পাশাপাশি দুর্দান্ত ব্যাটিং গড় ৪১.০৩। দুজনের দারুণ মিলও রয়েছে। কোহলিও খেলেছেন ১২৩ টি-টোয়েন্টি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামলে তাঁর ইনিংসও হয়ে যাবে বাবরের সমান ১১৬। তবে কোহলির রান ৪১০৩, নজরকাড়া ব্যাটিং ৪৮.৮৪।
আজ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৩ রান করলে কোহলি ছাড়িয়ে যাবেন বাবরকে। হবেন টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ফিফটি করতে পারলে বসবেন পাকিস্তান অধিনায়কের পাশে। টি-টোয়েন্টিতে কোহলির এখন ১ সেঞ্চুরি ও ৩৫ ফিফটি।
প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড বলে কোহলির রুদ্ররূপ দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কুড়ি ওভারের সংস্করণে ইংলিশদের বিপক্ষে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তাঁর। ২০ ইনিংসে ৫ ফিফটির সৌজন্যে ৬৩৯ রান। ১৩৫ স্ট্রাইকরেটের সঙ্গে ৩৯.৯৩ ব্যাটিং গড়।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কোহলি ২০২২ বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচও ছিল সেমিফাইনাল। অ্যালেক্স হেলস-জস বাটলারের তান্ডবে ১০ উইকেটে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের। তবে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে কোহলি খেলেছিলেন দলের হয়ে ৪০ বলে ৫০ রানের কার্যকর এক ইনিংস।