বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যু তদন্তে তিন সদস্যের স্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে। বিসিবি সভাপতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা এই কমিটির। কমিটি গঠনের প্রায় ২০ দিনেও কাজের তেমন অগ্রগতি নেই। কথা বলার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটারকেও ডাকেনি কমিটি।
যোগাযোগ করা হলে কমিটির সদস্য সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। যেহেতু বিষয়টি গোপনীয়, তাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে কোনো তথ্য দিতে পারব না। তবে কাজ এগোচ্ছে। এমন ধরনের তদন্তে সময় লাগেই।’
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, গুলশানের নাভানা টাওয়ারে বিসিবির একটি অফিস রয়েছে, যেখানে দীর্ঘদিন কার্যক্রম না চলায় কিছু সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। সংস্কার শেষে অনুসন্ধান কমিটি সেখানেই কাজ করবে।
বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যুতে যে ক্রিকেটারদের নাম এসেছে, তাঁদের নিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো কিছুটা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কিছু ক্রিকেটার দল পেলেও বিতর্কিতদের অনেকেই এখনো দল পাননি। তবে অনুসন্ধান কমিটির সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কারও ক্রিকেট খেলা নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে দোষী প্রমাণিত হলে আইসিসি ও বিসিবির শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের।
যে ক্রিকেটাররা প্রিমিয়ার লিগে দল পাননি, তাঁদের অনেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভারতে হতে যাওয়া এশিয়ান লিজেন্ডস লিগে বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ইংল্যান্ড বা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় লিগেও খেলতে যেতে পারেন। তবে দীর্ঘ তদন্তের কারণে প্রয়োজনীয় সময়ে ক্রিকেটাররা শুনানিতে হাজির হতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।