যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের কাছে হেরে খাদের কিনারায় পাকিস্তান। কানাডার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতে যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের আশা জিইয়ে রেখেছে, কিন্তু তাদের ভাগ্য আর তাদের হাতে নেই! অস্বস্তির এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সুখবর শোনলেন বাবর আজমরা—বেতন বেড়েছে তাঁদের।
পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চার শ্রেণিতে বেতন পান ক্রিকেটাররা। সব শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। ‘এ’ শ্রেণিতে থাকা বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ানের বেতন বেড়েছে ২০০ শতাংশ। এখন ৪৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি করে বেতন পাবেন এলিট শ্রেণির এই ক্রিকেটাররা।
‘বি’ শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন বেড়েছে ১৪৪ শতাংশ। পাকিস্তানের উদীয়মান তারকা এবং ধারাবাহিক পারফরমাররাই এই শ্রেণিতে জায়গা পেয়েছেন। শ্রেণিতে শাদাব খান, হারিস রউফ ও ফখর জামানদের সঙ্গে আছেন তরুণ পেস সেনসেশন নাসিম শাহ। প্রত্যেকে এখন ৩০ লাখ রুপি করে পাবেন।
বাকি দুই ‘সি’ ও ‘ডি’ শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন বেড়েছে ১২৭-১৩৫ শতাংশ। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমাদ ওয়াসিম এবং ইফতিখার আহমেদের মতো খেলোয়াড়েরা এই শ্রেণিতে আছেন। যাঁরা সাড়ে ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ ৫০ হাজার রুপি পাবেন।
একলাফেই এত বেশি বেতন বাড়ানোর কারণ কী? বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দিকে ক্রিকেটারদের ঝুঁকে পড়া আটকাতেই বাবর আজম-শাহিন শাহ আফ্রিদিদের বেতন বেশি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পিসিবির। এখন দেখার বিষয় বেতন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান দলের ভাগ্যেও বিশ্বকাপে সুপ্রসন্ন হয় কিনা।