ক্রীড়া ডেস্ক
আফগানিস্তানের কাছে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপটা ভুলে যাওয়ার মতোই। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সেমির দৌড় থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া আফগানের কাছে সুযোগ ছিল জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার। শারজায় আজ নেপালের কাছে প্রাণপণে লড়াই করেও জিততে পারল না আফগানরা।
আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার কাছে বিন্দুমাত্র পাত্তা পায়নি নেপাল। আফগানরা আজ ১২৪ রানের লক্ষ্য দিলেও নেপালের জিততে ঘাম ছুটে গেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নেপাল পেয়েছে ১ উইকেটের সান্ত্বনার জয়।
আফগানিস্তানকে হারাতে নেপালকে ব্যাটিং করতে হতো ২.৪৮ রানরেটে। ওভারপ্রতি প্রয়োজনীয় রানরেট যতই হোক, এমন লো-স্কোরিং ম্যাচে ভেলকি দেখাতে হয় মূলত বোলিং পক্ষকে। আফগানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩০.১ ওভারে ৮ উইকেটে ৮৪ রানে পরিণত হয় নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
হাতে ২ উইকেট নিয়ে ৪০ রানও তখন নেপালের কাছে মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ। এমন সময়ে জ্বলে ওঠে আশার আলো। নবম উইকেটে ৩১ রানের জুটি গড়েন নরেন সাউদ ও হেমন্ত ধামি। ৪০তম ওভারের চতুর্থ বলে সাউদকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আফগানিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন আবদুল আজিজ খান।
সাউদ বিদায় নিলে নেপালের স্কোর হয়ে যায় ৩৯.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৫ রান। ৫৪ বলে ২ চারে ২৬ রান করেন তিনি। আট নম্বরে নামা সাউদই নেপালের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার। শেষ পর্যন্ত তারা ৪১.৩ ওভারে ৯ উইকেটে করে ফেলে ১২৪ রান। ৫১ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপের তিন নম্বরে থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শেষ করল নেপাল। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ গজনফার ও খাতির স্টানিকজাই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। গজনফার ১০ ওভার বোলিং করে ৩৬ রান খরচ করেন। আফগানিস্তানের এই রহস্যময় স্পিনার এক ওভার মেডেনও দিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক মাহবুব খান। নেপালের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে ৩৫.৪ ওভারে ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ফয়সাল শিনোজাদা। ৬৭ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ২ ছক্কা মারেন তিনি। নেপালের উনিশ ঠাকুরি, সন্তোষ যাদব নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। দলটির অধিনায়ক ধামি ও তিওয়ারি ২টি করে উইকেট পেয়েছেন।