বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাহাকার দূর হয়েছে ২০২৪ সালে। গত বিপিএলে তাঁর আক্ষেপ ঘুচেছিল ফরচুন বরিশালের হয়ে। এবারও তিনি বরিশালের জার্সিতে জিতলেন আরেকটা বিপিএল শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
মিরপুরে গতকাল চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। মিরপুর শেরেবাংলায় তখন লালের উৎসব। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থক, ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মিজানুর রহমান সবার চোখে মুখেই শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাস। তাঁদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন ব্যতিক্রম। আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কেঁদেই ফেললেন ৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। মাঠেই চোখের জল মুছতে থাকা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি রিলস পোস্ট করেছে। ক্যাপশন দিয়েছে, ‘আবেগ সামলাতে না পেরে বিপিএল শিরোপা জয়ের পর মাহমুদউল্লাহ কেঁদে দিলেন।’ তাঁকে দেখে সতীর্থরাও যে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
২০২৪ বিপিএলের মতো এবারও ফরচুন বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে। তামিমের নেতৃত্বাধীন দলে এবারও খেলেছেন দেশের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম। তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর বয়স ৩৫,৩৭ ও ৩৯ বছর। বয়স্কদের দিয়ে টি-টোয়েন্টি চলে না—এমন কথা অনেকবার শোনা গেলেও ফরচুন বরিশালের সত্ত্বাধিকারী মিজানুর রহমান সেটা মানতে নারাজ। মিজানুর গত রাতে ফাইনাল শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অবশ্যই দরকার। সেটার সঙ্গে তারুণ্যও থাকতে হয়। আমাদের দলে সবই আছে। রিশাদ, হৃদয়, শান্ত রয়েছে। আরও অনেক ক্রিকেটার আছে। দুইটার সমন্বয় না হলে কিন্তু হবে না। অভিজ্ঞতার একটা দাম আছে।’
মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক ছেড়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। তামিম তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই ছেড়ে দিলেন। বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি খেলার সময় তাঁদের নিয়ে যখন প্রায়ই সমালোচনা হতো, তাঁরাই এবার চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের সদস্য। বরিশালের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল গত রাতে ফাইনাল শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি অভিজ্ঞতার অনেক দাম রয়েছে। তারা (তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ) যদি ফিট থাকে, অবশ্যই ক্রিকেটটা তারা তরুণদের চেয়ে বেশি বুঝতে পারে। বিপদের সময় তারা স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পারে। আমি কেন বলব, তারা বুড়ো হয়ে গেছে, এমন ধরনের কথা আমি কেন বলব? পরপর দুই বছরের রেকর্ড যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন যে তরুণদের চেয়ে যেসব দলে বয়স্ক ক্রিকেটার বেশি, তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’