ইনিংসের প্রথম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন আজিজুল হাকিম তামিম। আউট হয়েছেন ৪৭তম ওভারে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ১০৩ রানের একটি ম্যারাথন ইনিংস। তবে শেষের ধসে বাংলাদেশ করতে পারল না ২৫০ রানও।
যুব এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ দুবাইয়ে খেলতে নেমেছে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝে অধিনায়ক তামিম খেলেছেন অধিনায়কের মতোই। ৩০০ বলের মধ্যে একাই খেলেছেন ১৩৩ বল। বাংলাদেশের ইনিংসের প্রায় অর্ধেক রান করেছেন তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৩ রানেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে জাওয়াদ আবরারকে ফিরিয়েছেন আবদুল আজিজ। ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি আবরার। এরপরই ব্যাটিং করতে তামিম। ওপেনার কালাম সিদ্দিকির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন তামিম। ৩৬তম ওভারের তৃতীয় বলে কালামের উইকেট নিয়ে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ গজনফার। ১১০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ রান করেন কালাম।
দ্বিতীয় উইকেটের জুটি ভাঙার পরই ভাঙন ধরা শুরু করে বাংলাদেশের ইনিংসে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন তামিম। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৩২ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে নুরিস্তানি ওমরজাইকে ছক্কা মেরে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তামিম। সেঞ্চুরির পর বাংলাদেশ অধিনায়ক ব্যাট উঁচিয়ে উদযাপন করেছেন। তবে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পরের বলেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন তিনি। ১৩৩ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রান করেছেন তিনি।
শেষ ২০ বলে ২৪ রান তুলতে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৩ উইকেট। তামিম (১০৩), কালাম (৬৬) ছাড়াও বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান করেন মোহাম্মদ রাফি উজ্জামান রাফি। ৯ নম্বরে নেমে ১০ বলে ১ ছক্কায় ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন রাফি। আফগানিস্তানের আজিজ, নুরিস্তানি, খাতির স্টানিকজাই ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন গজনফার ও নাসির খান মারুফখিল।