প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) থেকে ২০২৪-২৫ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে এসেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে পিএসজিতে যেভাবে নিয়মিত গোল করতেন, রিয়ালে এসে শুরুতে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না। অফফর্মের কারণে অনেক সমালোচনারও শিকার হতে হয়েছিল। সেই এমবাপ্পে এখন উড়ছেন। ভাগ বসিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এক রেকর্ডে।
লা লিগায় গত রাতে লেগানেসের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন এমবাপ্পে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩২ মিনিটে প্রথম গোলটা করেন পেনাল্টি থেকে। নিজের দ্বিতীয় গোলটা এমবাপ্পে ৭৬ মিনিটে করেন ফ্রান গার্সিয়ার অ্যাসিস্টে। এই গোলেই এমবাপ্পে ছুঁয়ে ফেলেন রোনালদোকে। রিয়ালের জার্সিতে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ৪৪ ম্যাচে এমবাপ্পের গোল ৩৩। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে অভিষেক মৌসুমে এমবাপ্পের সমান গোল করেছিলেন রোনালদো। রিয়ালে নিজের প্রথম মৌসুমে (২০০৯-১০) সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল মিলে রোনালদো করেছিলেন ৩৩ গোল।
রোনালদোর রেকর্ড স্পর্শ করা বিশেষ অর্জন মনে করছেন এমবাপ্পে। লেগানেসের বিপক্ষে জোড়া গোলের পর সাংবাদিকদের গত রাতে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমার কাছে অনেক বিশেষ কিছু এটা (এমবাপ্পের রেকর্ড ছোঁয়া)। আমি নিশ্চিত দলে পারফরম্যান্সটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু একই সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানোর সমান গোল করাটা অনেক ভালো। আমরা জানি তিনি (রোনালদো) রিয়াল মাদ্রিদ ও আমার কাছে কেমন। তিনি আমাদের অনেক উপদেশ দিয়ে থাকেন। অনেক গোল করেছেন। তবে আমাদের শিরোপা জিততে হবে।’
এমবাপ্পের রেকর্ড গড়ার রাতে লেগানেস-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। এমবাপ্পের গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর ৮ মিনিট ব্যবধানে জোড়া গোল করে লেগানেস। ৩৩ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন লেগানেস স্ট্রাইকার দিয়েগো গার্সিয়া। এরপর ৪১ মিনিটে দানি রাবার গোলে এগিয়ে যায় লেগানেস। তবে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ জিততে রিয়াল মাদ্রিদ ভালো করেই জানে। ৪৭ মিনিটে জুড বেলিংহামের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। আর ৭৬ মিনিটে রেকর্ড গড়া গোল করেন এমবাপ্পে। শেষ পর্যন্ত লেগানেসকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
৩-২ গোলে জিতে রিয়াল ছুঁয়ে ফেলেছে বার্সেলোনাকে। ২০২৪-২৫ মৌসুমে লা লিগায় বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ দুই দলেরই পয়েন্ট ৬৩। রিয়াল খেলেছে ২৯ ম্যাচ আর ২৮ ম্যাচ খেলেছে বার্সা। তিনে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৭। তারা খেলেছে ২৯ ম্যাচ। লা লিগায় এস্তাদি অলিম্পিক লুইজ কোম্পানিজ স্টেডিয়ামে আজ বার্সেলোনা খেলবে জিরোনার বিপক্ষে।