Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

যেটা আরও পরে শিখতাম, সেটা একটু আগে শিখছি

যেটা আরও পরে শিখতাম, সেটা একটু আগে শিখছি

২০২৩ এশিয়া কাপের আগে হুট করে জাতীয় দলে ডাক পান তানজিদ হাসান তামিম। এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভালো না করতে পারলেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই বিপিএলে। ১ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ১৩৫.৬৮ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৩৮৪ রান। যদিও তাঁর দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বিদায় নিয়েছে প্লে-অফে হেরে। গতকাল নিজের ব্যর্থতা আর প্রত্যাবর্তনের গল্প শোনালেন আজকের পত্রিকাকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন লাইছ ত্বোহা

প্রশ্ন: এবারের বিপিএলে নিজেকে আরও ভালোভাবে চেনানোর লক্ষ্য নিয়েই কি খেলেছেন? নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা তৃপ্ত?

তানজিদ হাসান তামিম: আসলে আমার এ রকম কোনো লক্ষ্য ছিল না। যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ, নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও খুশি। আমার একটাই পরিকল্পনা ছিল—দলের জন্য অবদান রাখা; যেটা দলে ভূমিকা রাখবে। দলকে ভালো পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়াই ছিল লক্ষ্য।

প্রশ্ন: ভালো পারফরম্যান্স করেছেন, দল ফাইনালে যেতে পারেনি, ফাইনাল পর্যন্ত গেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার সুযোগ পেতেন, কতটা আক্ষেপ এটা নিয়ে?

তানজিদ: দলকে ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। তবু যা হয়েছে; দল এবং ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে বলব আলহামদুলিল্লাহ। আমার আসলে কোনো আক্ষেপ নেই।

প্রশ্ন: সেঞ্চুরি করেছেন, আপনার স্ট্রাইকরেটও দারুণ—১৩৫.৬৮; ব্যাটিংয়ে কী পরিবর্তন এনেছেন নিজেকে ফিরে পেতে?

তানজিদ: তেমন কোনো পরিবর্তন আনিনি। শুরুতে কয়েকটা ম্যাচে রান পেয়েছি কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারিনি। পরে আবার ছন্দ পেয়েছিলাম, চেষ্টা করেছি কাজে লাগাতে। এ ছাড়া ব্যাটিংয়ে তেমন কোনো পরিবর্তন ছিল না।

প্রশ্ন: বিপিএলে মাঠের চারদিকে শট খেলার দক্ষতা তো দেখালেনই। শটের রেঞ্জ বাড়াতে বিশেষ কাজ করেছেন?

তানজিদ: না, শট নিয়ে ওভাবে আলাদা কাজ করা হয়নি। আমি আগেও যেটা বললাম, দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা, সব সময় স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছি। মূলত বলের রেট দেখেছি, বল অনুযায়ী বাউন্ডারি ছাড়া করা এবং চেষ্টা করেছি উইকেটে থেকে মাঠের চারপাশে ব্যাটিং করার।

প্রশ্ন: ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে হঠাৎ ওয়ানডে বিশ্বকাপ-এশিয়া কাপে সুযোগ পেলেন, মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত ছিলেন ওই সময়ে?

তানজিদ: আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি। সব সময় চেষ্টা বা লক্ষ্য থাকে দলকে ভালো কিছু দেওয়ার। হয়তো বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে পারিনি। নিজেও ভালো করতে পারিনি, দলও ভালো করতে পারেনি। এর মধ্যেও ইতিবাচক ব্যাপারগুলো নেওয়ার চেষ্টা করি। বিশ্বকাপে বিভিন্ন দলের সঙ্গে খেলেছি, অনেক খেলোয়াড় দেখেছি, এটা ভবিষ্যতে আমার কাজে লাগবে। 

প্রশ্ন: সর্বশেষ বিশ্বকাপে থেকে কোন বিষয়টা বেশি শিখেছেন?

তানজিদ: অবশ্যই দেখেন, যেটা হয়তো আরও পরেই শিখতাম বা আরও পরেই খেলা হতো, সেটা একটু আগে হওয়ার কারণে এখনই শিখছি। এটা হয়তো আমার সামনে কাজে দেবে। কিছুটা সহজ হয়ে যাবে খেলা।

প্রশ্ন: পুনেতে ভারতের বিপক্ষে দারুণ ফিফটি করেছিলেন, ওটা কিছুটা আত্মবিশ্বাস জোগানোর কথা আপনার। এরপরও সময়টা অনুকূলে যায়নি, তখন কোন চিন্তা বেশি কাজ করেছে?

তানজিদ: দেখেন, আমি অনেক ইনিংস ভালো শুরু করেছি, কিন্তু সেটা বড় করতে পারিনি, এটা আমার ব্যর্থতা। এখন কাজ করছি নিজের সমস্যাগুলো নিয়ে। 

প্রশ্ন: এখন যেহেতু গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিপিএলের তামিমকে দেখার আশা তো করাই যায়, নাকি?

তানজিদ: ওদের সঙ্গে খেলেছি আগেও। চেষ্টা থাকবে ইতিবাচক থাকার। দলে যে ভূমিকা দেবে, সেটা পালনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যেহেতু আমাদের নিজেদের মাঠে খেলা, চেনা কন্ডিশন। অবশ্যই চাইব বিপিএলের এই ধারাবাহিকতা শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ধরে রাখার, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার।

প্রশ্ন: কঠিন সময়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আপনাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে, একজন তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে এটা কতটা অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল?

তানজিদ: আলহামদুলিল্লাহ, এটা অনুপ্রেরণার ছিল। কঠিন সময়ে যখন টিম ম্যানেজমেন্ট বিশ্বাস রাখে, তখন একজন খেলোয়াড়কে অনেক অনুপ্রেরণা দেয়, কোনো চাপ মনে হয় না। সেদিক থেকে বলব, অনেক সাপোর্ট দিয়েছে।

প্রশ্ন: কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আপনাকে কীভাবে উৎসাহিত করেন?

তানজিদ: (সাপোর্ট করা) এর চেয়ে বড় উৎসাহ আর কিছু হতে পারে না—সবকিছু নিয়ে ইতিবাচক থাকা, ভালো বিষয় নিয়ে কথা বলা, ভালো চিন্তাভাবনা করা, এটা আসলে তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি।

নেতৃত্ব দেওয়ার ভাবনায় এগিয়ে যেতে চান হাসান

নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বা রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নেই

১০-১২ বছর খেলেও সিনিয়র হতে পারিনি

এবারের বিপিএল আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে

ওদের হারাতে সবার মধ্যে একটা ক্ষুধা কাজ করছিল

জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা আমার কাজের ফল

‘আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে খেলোয়াড়দের শরীরের রোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল’

সব দলের চেয়ে আমরাই ছিলাম সেরা

বিশ্বাস রাখেন কয়েক বছরের মধ্যেই এই দল অনেক ভালো করবে

সবাই আমাকে বিশ্বাস করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে