গায়ানা গ্লোবাল সুপার লিগ জিতেছে রংপুর রাইডার্স। দলের এই সাফল্যের অংশীদার মোহাম্মদ আশরাফুলও। কোচিং জীবনের শুরুতেই অংশ হয়েছেন দারুণ এক সাফল্যের। রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ হিসেবে পেলেন একটা শিরোপার স্বাদ। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াকে হারিয়ে নতুন এই টুর্নামেন্ট জয়ের পর আজকের পত্রিকার মুখোমুখি আশরাফুল। ফোনে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস
প্রশ্ন: রংপুরের শুরুটা ভালো ছিল না। টানা তিন জয়ে আপনারাই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন। কীভাবে সম্ভব হলো?
মোহাম্মদ আশরাফুল: টুর্নামেন্টে প্রথম দুটি ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে বোলিং-ফিল্ডিং চমৎকার ছিল। গায়ানা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেট বেশি ভালো ছিল না। রংপুর তোলে ১১৭ রান। আমাদের মধ্যে ওই বিশ্বাস ছিল, এ রান নিয়েই জেতা সম্ভব। কামরুল ইসলাম রাব্বী তার প্রথম ওভারে ৩ উইকেট নেওয়ায় আমরা জিতেছিও। যে দুটো ম্যাচ আমরা হেরেছি, সে দুটোও আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। জেতার মতো অবস্থায় থেকেও জিততে না পারায় সবাই দুঃখ পেয়েছে। কারণ, দলের সবাই আমরা অভিজ্ঞ ছিলাম। আমরা যে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, তেমন উইকেটই ছিল (গায়ানায়)। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল ছিলাম আমরা। অন্য দলগুলোর মধ্যে গায়ানা দলটা ভালো ছিল। বাকি সব দলের চেয়ে আমরাই ছিলাম সেরা দল। সেরা দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে আমি মনে করি। সবার মধ্যে একটা বিশ্বাস ছিল, তাই (প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরও) বাকি ম্যাচগুলো আমরা জিততে পেরেছি। ক্রিকেটে ভাগ্যেও লাগে। শেষ তিনটি ম্যাচে টস-ভাগ্য ছিল আমাদের, টস জিতে তিন ম্যাচেই আমরা ব্যাটিং করেছি।
প্রশ্ন: গায়ানার উইকেট ও কন্ডিশন অনেকটা মিরপুরের মতো বলা হয় শুনেছি। বাংলাদেশ দলও অনেক সাফল্য পেয়েছে সেখানে। আপনাদেরও কি অনেক সহায়তা করেছে?
আশরাফুল: আমাদের জন্য সহজ হয়েছে। উইকেট কঠিন ছিল। খেলার জন্য খুব সহজ ছিল না। আমরা ভালোই মানিয়ে নিতে পেরেছি।
প্রশ্ন: হোক না সহকারী কোচ, তবু প্রথম টুর্নামেন্টে গিয়েই শিরোপা জয়ের স্বাদ। নিজের এই প্রাপ্তিকে কীভাবে দেখেন?
আশরাফুল: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। কোচিং শুরু করেছি দুই-আড়াই মাস হলো। তো এই রকম একটা সুযোগ পেয়েছি...। সৌম্য, সাইফ, সোহান, আফিফ, শেখ মেহেদী—দলের সবাই জাতীয় দলের ক্রিকেটার। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে নিজেরও ভালো লেগেছে। কিছুদিন আগেও তাদের সঙ্গে খেলেছি। সৌম্য সরকারের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজের ভালো লাগা কাজ করছে। সাইফ ব্যাটিং ভালো করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাদের চ্যাম্পিয়ন করেছেন। দলের কোচ মিকি আর্থার ভালো একজন কোচ। ভালো মানুষও। স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে তাঁর তেমন আইডিয়া ছিল না। যখনই যা বলা হতো, চমৎকারভাবে তিনি তা গ্রহণ করতেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লেগেছে।
প্রশ্ন: কোচ হিসেবে কী শিখলেন এই টুর্নামেন্ট থেকে?
আশরাফুল: কোচ হিসেবে আপনি প্রতিদিনই শিখবেন। শেখার তো শেষ নাই। যেহেতু খেলোয়াড় ছিলাম, দলকে নেতৃত্বও দিয়েছি, সেহেতু আমার এই অভিজ্ঞতা নতুন ছিল। আগে খেলা নিয়ে চিন্তিত থাকতাম। এখন ভাবতে হয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স উন্নয়নে কীভাবে সহায়তা করা যায়। আমি সহায়তা করতে পেরেছি। ফল পাওয়াতে ভালো লাগছে। ফল না পাওয়া গেলে খারাপ লাগত।
প্রশ্ন: সৌম্যের কথা বলছিলেন। অধারাবাহিকতার কারণে জাতীয় দলে আসা-যাওয়া লেগেই থাকে তাঁর। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে সে খুবই ধারাবাহিক। ৪৭.০০ গড়ে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৮৮ করেছেন। ওঁর মধ্যে কি পরিবর্তন দেখলেন? তাঁর পারফরম্যান্সকেই-বা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আশরাফুল: সবাই জানি সে কতটা ট্যালেন্টেড। কতটা গড গিফটেড। আমাদের দেশে যে সমস্যাটা হয়, এক ফরম্যাটে খারাপ করলে আরেকটা ফরম্যাটে প্রভাবিত। ওর তো পরিবর্তন করার কিছু নাই। ওসব বিষয় নিয়েই আমরা আলাপ করতাম। পুরো স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। যে বিষয়টা ভালো লাগছে, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সে খেলার চেষ্টা করেছে। আপনি যদি উইকেট কী ডিমান্ড করে—ওটা বুঝতে পারেন, এই উইকেটে লো হতে পারে বল; দাঁড়ায় খেলতে পারবেন না। একটু লো হয়ে খেলতে হবে। ওপেনিংয়ে তার পার্টনার টেইলর ভালো ছিল। সৌম্য অভিজ্ঞ প্লেয়ারের মতোই খেলার চেষ্টা করছে।
প্রশ্ন: রংপুরের শুরুটা ভালো ছিল না। টানা তিন জয়ে আপনারাই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন। কীভাবে সম্ভব হলো?
মোহাম্মদ আশরাফুল: টুর্নামেন্টে প্রথম দুটি ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে বোলিং-ফিল্ডিং চমৎকার ছিল। গায়ানা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেট বেশি ভালো ছিল না। রংপুর তোলে ১১৭ রান। আমাদের মধ্যে ওই বিশ্বাস ছিল, এ রান নিয়েই জেতা সম্ভব। কামরুল ইসলাম রাব্বী তার প্রথম ওভারে ৩ উইকেট নেওয়ায় আমরা জিতেছিও। যে দুটো ম্যাচ আমরা হেরেছি, সে দুটোও আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। জেতার মতো অবস্থায় থেকেও জিততে না পারায় সবাই দুঃখ পেয়েছে। কারণ, দলের সবাই আমরা অভিজ্ঞ ছিলাম। আমরা যে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, তেমন উইকেটই ছিল (গায়ানায়)। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল ছিলাম আমরা। অন্য দলগুলোর মধ্যে গায়ানা দলটা ভালো ছিল। বাকি সব দলের চেয়ে আমরাই ছিলাম সেরা দল। সেরা দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে আমি মনে করি। সবার মধ্যে একটা বিশ্বাস ছিল, তাই (প্রথম দুই ম্যাচ হারের পরও) বাকি ম্যাচগুলো আমরা জিততে পেরেছি। ক্রিকেটে ভাগ্যেও লাগে। শেষ তিনটি ম্যাচে টস-ভাগ্য ছিল আমাদের, টস জিতে তিন ম্যাচেই আমরা ব্যাটিং করেছি।
প্রশ্ন: গায়ানার উইকেট ও কন্ডিশন অনেকটা মিরপুরের মতো বলা হয় শুনেছি। বাংলাদেশ দলও অনেক সাফল্য পেয়েছে সেখানে। আপনাদেরও কি অনেক সহায়তা করেছে?
আশরাফুল: আমাদের জন্য সহজ হয়েছে। উইকেট কঠিন ছিল। খেলার জন্য খুব সহজ ছিল না। আমরা ভালোই মানিয়ে নিতে পেরেছি।
প্রশ্ন: হোক না সহকারী কোচ, তবু প্রথম টুর্নামেন্টে গিয়েই শিরোপা জয়ের স্বাদ। নিজের এই প্রাপ্তিকে কীভাবে দেখেন?
আশরাফুল: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। কোচিং শুরু করেছি দুই-আড়াই মাস হলো। তো এই রকম একটা সুযোগ পেয়েছি...। সৌম্য, সাইফ, সোহান, আফিফ, শেখ মেহেদী—দলের সবাই জাতীয় দলের ক্রিকেটার। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে নিজেরও ভালো লেগেছে। কিছুদিন আগেও তাদের সঙ্গে খেলেছি। সৌম্য সরকারের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজের ভালো লাগা কাজ করছে। সাইফ ব্যাটিং ভালো করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাদের চ্যাম্পিয়ন করেছেন। দলের কোচ মিকি আর্থার ভালো একজন কোচ। ভালো মানুষও। স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে তাঁর তেমন আইডিয়া ছিল না। যখনই যা বলা হতো, চমৎকারভাবে তিনি তা গ্রহণ করতেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লেগেছে।
প্রশ্ন: কোচ হিসেবে কী শিখলেন এই টুর্নামেন্ট থেকে?
আশরাফুল: কোচ হিসেবে আপনি প্রতিদিনই শিখবেন। শেখার তো শেষ নাই। যেহেতু খেলোয়াড় ছিলাম, দলকে নেতৃত্বও দিয়েছি, সেহেতু আমার এই অভিজ্ঞতা নতুন ছিল। আগে খেলা নিয়ে চিন্তিত থাকতাম। এখন ভাবতে হয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স উন্নয়নে কীভাবে সহায়তা করা যায়। আমি সহায়তা করতে পেরেছি। ফল পাওয়াতে ভালো লাগছে। ফল না পাওয়া গেলে খারাপ লাগত।
প্রশ্ন: সৌম্যের কথা বলছিলেন। অধারাবাহিকতার কারণে জাতীয় দলে আসা-যাওয়া লেগেই থাকে তাঁর। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে সে খুবই ধারাবাহিক। ৪৭.০০ গড়ে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৮৮ করেছেন। ওঁর মধ্যে কি পরিবর্তন দেখলেন? তাঁর পারফরম্যান্সকেই-বা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আশরাফুল: সবাই জানি সে কতটা ট্যালেন্টেড। কতটা গড গিফটেড। আমাদের দেশে যে সমস্যাটা হয়, এক ফরম্যাটে খারাপ করলে আরেকটা ফরম্যাটে প্রভাবিত। ওর তো পরিবর্তন করার কিছু নাই। ওসব বিষয় নিয়েই আমরা আলাপ করতাম। পুরো স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। যে বিষয়টা ভালো লাগছে, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সে খেলার চেষ্টা করেছে। আপনি যদি উইকেট কী ডিমান্ড করে—ওটা বুঝতে পারেন, এই উইকেটে লো হতে পারে বল; দাঁড়ায় খেলতে পারবেন না। একটু লো হয়ে খেলতে হবে। ওপেনিংয়ে তার পার্টনার টেইলর ভালো ছিল। সৌম্য অভিজ্ঞ প্লেয়ারের মতোই খেলার চেষ্টা করছে।
সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। ওয়েলিংটনে আজ নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি তাই শুধুই নিয়মরক্ষার। তবে সান্ত্বনার জয় পায়নি পাকিস্তান ক্রিকেট দল। আর এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের বদলা ওয়ানডে সিরিজে নেওয়ার হুংকার দিল পাকিস্তান।
১০ ঘণ্টা আগেম্যাচের আগে আর্জেন্টিনাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে ব্রাজিল ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারল না। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ৪-১ গোলে হেরেছে।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জার্সিতে হামজা চৌধুরীর অভিষেকটা হয়েছে দুর্দান্ত। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে গতকাল ভারতকে হারাতে না পারলেও স্বাগতিকদের নাচিয়ে ছেড়েছেন হামজা। ভারতের অভিজ্ঞ ফুটবলার সুনীল ছেত্রী পর্যন্ত বোতলবন্দী হয়ে যান।
১২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব ক্রিকেটে আফগানিস্তান বেশ দাপট দেখিয়ে খেলছে। আইসিসি ইভেন্টে দেখাচ্ছে চমক। কিন্তু নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের সুযোগ এখনো হয়নি তাদের। ‘হোম ম্যাচ’ খেলতে কখনো ভারত, কখনো যেতে হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অবশেষে পাঁচ বছরের জন্য নির্দিষ্ট ঘরের মাঠ পেল আফগানরা।
১৩ ঘণ্টা আগে