পালাবদল
বেশ কয়েক বছর ধরে ডমিনিক থিম, ক্যাসপার রুড, দানিল মেদভেদেভরা উঠে আসার চেষ্টা করলেও ‘বড় তিন’ তথা ফেদেরার-নাদাল-জোকোভিচের কারণে সেভাবে ডানা মেলতে পারেননি। তবে দুই তরুণ স্পেনের কার্লোস আলকারাস ও ইতালির ইয়ানিক সিনার বিদায়ী এই বছরে বিশ্ব টেনিসে পালাবদলের গানই শুনিয়েছেন। বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্লাম দুজনে ভাগাভাগি করেছেন। তাতে গত ২১ বছরে এই প্রথম ‘বড় তিন’-এর কেউ কোনো গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পারেননি। ফেদেরার অবশ্য আগেই বিদায় নিয়েছেন, এ বছর টেনিসকে বিদায় বলেছেন রাফায়েল নাদালও। জোকোভিচ কোর্টে থাকলে তাঁকে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাবঞ্চিত করে আলকারাস-সিনার এটাই প্রমাণ করেছেন—বিশ্ব টেনিস তাঁদেরই পদানত!
অবশেষে টেনিসকে বিদায়
একের পর এক টুর্নামেন্ট আসে, আর তা শুরুর আগে ঘোষণা দিয়ে নাম প্রত্যাহার করে নেন রাফায়েল নাদাল। বেশ কয়েকবারই এমনটা হওয়ার পর নাদাল জানিয়ে দেন, ডেভিস কাপই হবে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। গত নভেম্বরে সেই টুর্নামেন্ট খেলেই ২৩ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন নাদাল। তাঁর নামের পাশে ১৪টি ফ্রেঞ্চ ওপেন শিরোপা, ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম—তাঁর এই অর্জনই বলে দিচ্ছে টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তিনি।
উজ্জ্বল লাইলস
১০০ মিটার ফাইনালে ৮ স্প্রিন্টারের সবাই দৌড়েছেন ১০ সেকেন্ডের নিচে। প্রতিযোগিতা এমনই জমাট ছিল যে দ্বিতীয় হয়ে দৌড় শেষ করা কিশানে টমসনের সঙ্গে ফটো ফিনিশিংয়ে ০.০০৫ সেকেন্ড ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথম হন নোয়াহ লাইলস (৯.৭৯)।
নতুন ফেলপস
৪ সোনা ও ১টি ব্রোঞ্জ জিতেছেন। চারটিতেই আবার অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে। মাইকেল ফেলপসের পর সাঁতারে ৪টি সোনাজয়ী একমাত্র সাঁতারু এখন লিওঁ মারশাঁ। যাঁকে সবাই দেখছেন নতুন ফেলপস হিসেবে।
বাইলসের প্রত্যাবর্তন
টোকিও অলিম্পিকের মাঝপথেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে। তখন ধরেই নেওয়া হয়েছিল, হয়তো আর জিমন্যাস্টিকসে ফেরা হবে না তাঁর। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিকে ফিরে জেতেন তিনটি সোনা। সফলতম নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে জায়গা করে নেন ইতিহাসে।
পূর্ণতা
রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেও নোভাক জোকোভিচের ক্যারিয়ারে অপূর্ণতা ছিল অলিম্পিকে সোনা জিততে না পারা। প্যারিসে ঘুচেছে সেই অপূর্ণতা।
লেডেকির কীর্তি
প্যারিসে ২ সোনাসহ ৪ পদকে কেটি লেডেকির অলিম্পিক পদক ১৪। ৯টি সোনা নিয়ে তিনি পাশে বসেছেন গ্রেট অলিম্পিয়ান লারিসা লাতিনিনার।