‘গঠনের দিক থেকে নিখুঁত’ সবচেয়ে বড় নীল হীরাটির দাম নিলামে উঠতে পারে ৫ কোটি ডলার (৫৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি)। এমনটি আশা করছে ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টি’স। ৭ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের বিরল রত্নের এক নিলামে এটি তোলা হবে। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
‘ব্লু রয়্যাল’ নামে পরিচিত এই উজ্জ্বল নীল রঙের হীরাটি একটি আংটিতে বসানো আছে। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া বিরল হীরাগুলোর একটি।
‘ব্লু রয়্যালকে এমন বিরল এবং বিশেষ করে তোলার মূলে এর আকার। এটি ১৭ দশমিক ৬ ক্যারেটের। এ ধরনের হীরার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।’ বলেছেন ক্রিস্টি’সের জুয়েলারি বা গয়নার আন্তর্জাতিক শাখাপ্রধান রাহুল কাদাকিয়া।
‘এর রং প্রাকৃতিকভাবে খুব সমৃদ্ধ এবং এটি গঠনের দিক থেকে যতটা হওয়া সম্ভব ততটাই নিখুঁত।’ বলেন রাহুল।
২০১৬ সালে ক্রিস্টি’স ‘ওপেনহাইমার ব্লু’ নাম পরিচিত ১৪ দশমিক ৬ ক্যারটের একটি নীল হীরা বিক্রি করে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
‘আমরা আশা করছি, ওপেনহাইমারকে হারিয়ে দেবে এটি।’ ব্লু রয়্যালের ব্যাপারে বলেন কাদাকিয়া।
৩ নভেম্বর শুরু হওয়া এবং ১৬ নভেম্বর শেষ হবে একটি পৃথক অনলাইন নিলামে, ১৯৫৩ সালের ‘রোমান হলিডে’ চলচ্চিত্রের চূড়ান্ত দৃশ্যে বিখ্যাত অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের পরিহিত একটি মুক্তার হার তোলা হয়েছে।
‘আমরা এটির দাম ধরেছি ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার, তাই এটি বেশ যুক্তিসংগত।’ বলেন কাদাকিয়া, ‘যে কারোরই অড্রে হেপবার্ন হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।’
ক্রিস্টি ১৯৭৯ সালের ছবি ‘এপোকেলিপস নাও’-এ মার্লন ব্র্যান্ডোর পরা একটি রোলেক্স ঘড়িও উঠেছে ওই নিলামে। ঘড়িটির পেছনে অভিনেতার স্বাক্ষর আছে।
দুই বছর আগে ঘড়িটি একটি নিলামে ২০ লাখ সুইস ফ্রাঙ্কে (২২ লাখ ডলার) বিক্রি হয়েছিল। এখন এর দাম ধরা হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ সুইস ফ্রাঙ্ক।
‘অসাধারণ দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীর ব্যবহার করা দুটি জিনিস পাওয়া—মার্লন ব্র্যান্ডোর রোলেক্স এবং অড্রে হেপবার্নের একটি নেকলেস অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ঘটনা।’ বলেন ক্রিস্টি’সের ইউরোপের ঘড়ি শাখার প্রধান রেমি গুইলেমিন।