নর্মা জিন মর্টেনসন, পরবর্তীতে মেরিলিন মনরো। এই নামেই ঝড় তুলেছিলেন মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা। খুব কম সময়েই জায়গা করেছিলেন হলিউডের প্রথম সারিতে।
১৯২৬ সালে জন্ম নেওয়া মনরো ১৯৬২ সালে মারা না গেলে আজ বয়স হতো ৯৫ বছর। তবে তাঁর চলে যাওয়ার এত বছর পরেও তো থামেনি মেরিলিন মনরো আখ্যান। আজও আমেরিকার পাম স্প্রিংস আর্ট মিউজিয়ামের সামনে তাঁর উড়ন্ত স্কার্টের ২৬ ফুট উঁচু মূর্তি।
একাধিক বিয়ে, প্রেম, সম্পর্কের গুঞ্জন-ব্যক্তিগত জীবনেও কম বিতর্ক ছিল না গ্ল্যামার কুইনের। ১৬ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে। তারপর আরও দুবার বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হন মেরিলিন। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
অসম্ভব সাফল্যের আড়ালেও একাকিত্বে ভুগতেন অভিনেত্রী। ২৫ বছর বয়সের আগেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনবার। শোনা যায় ২৯ বছরের মধ্যে গর্ভপাত করিয়েছিলেন ১২ বার। তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরিতে নাকি ৩৭ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের নাম পাওয়া যায়।
আইকিইউতে আলবার্ট আইনস্টাইনের চেয়েও এগিয়ে ছিলেন মনরো। আইকিইউ স্কেলে আইনস্টাইনের যেখানে ১৬০ নম্বর সেখানে তাঁর নম্বর ছিল ১৬৩ থেকে ১৬৮। ব্রাইটসাইট ডট মির এ তথ্য এখন প্রমাণ করা সম্ভব না হলেও তিনি যে একজন বুদ্ধিমান নারী ছিলেন তা সবাই জানেন। পড়াশোনায় তাঁর ব্যাপক আগ্রহ ছিল, পড়েছেনও প্রচুর।
আরেকটি মজার ঘটনা হলো—আলবার্ট আইনস্টাইন একবার মনরোকে নিজের স্বাক্ষরিত ছবি দিয়েছিলেন যা তাঁর জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।