ছোট্ট এক পাখির কারণে রেলযোগাযোগে দেখা দেয় বড় এক বিঘ্ন। পাঁচ-দশ মিনিট নয় পাক্কা এক ঘণ্টা ২০ মিনিট পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। সিগালের একটি বিপন্ন প্রজাতি রেললাইনে চলে আসায় এ সমস্যা তৈরি হয় ইংল্যান্ডের ব্রাইটন স্টেশনে।
ইংল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশের রেল যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা টেমসলিংক সন্ধ্যা সাতটার দিকে ব্রাইটনের তিনটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তখন বিদ্যুৎ বন্ধ করে হেরিং গালটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে।
এতে যে পরিষেবাগুলো বিঘ্নিত হয় তার মধ্যে আছে গেটউইক এক্সপ্রেসের চলাচল, ব্রাইটন থেকে লন্ডনের দিকে ট্রেন চলাচল প্রভৃতি। রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত রেলযাত্রায় এ ব্যাঘাত স্থায়ী হয়।
কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে যাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রা শেষ করতে ২০ মিনিট আগে রওনা হওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে ট্রেন ছাড়ার তথ্য পরীক্ষা করতে বলেছে।
একজন যাত্রী এক্সে অভিযোগ করেন ‘অনেকগুলি ট্রেনে’র যাত্রা বাতিল হয়েছে এবং রেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের অসহায় একটি অবস্থায় ফেলে রেখেছে।
টেমসলিংক পরে যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, পাখিটিকে রেললাইন থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কম বয়স্ক পাখিটির একটি ছবি শেয়ার করে তারা লেখে, ‘বিষয়টির চমৎকার একটি সমাপ্তি হওয়ায় আমরা আনন্দিত।’
সাগর তীরের এলাকাগুলোতে হেরিং গালদের নিয়মিতই দেখা গেলেও বার্ডস অব কনজারভেশন কনসার্ন’সের (বিসিসি) লাল তালিকায় আছে ২০০৯ সাল থেকে। কারণ এর সংখ্যা দিন দিন কমছে।
লাল তালিকায় রাখার অর্থ প্রজাতিটিকে বিসিসি ‘সংরক্ষণে বাড়তি গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য’ বলে মনে করছে।