মেডিকেল ও ডেন্টালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নুর মিরপুরের ছয়তলা বাড়িসহ ১২ দশমিক ৬০ বিঘা জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানান। দুদকের উপপরিচালক কে এম আসাদুজ্জামান বাড়ি ও জমি ক্রোক চেয়ে আবেদন করেন।
মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানাধীন এলাকায় মুন্নুর এসব জমির মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৩ টাকা।
আবেদনে বলা হয়েছে, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা ও ২৭(১) ধারা তৎসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে জানা যায়, জসিম ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, যা অবৈধভাবে অর্জিত। আসামি তাঁর অবৈধভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পদ বিক্রি বা হস্তান্তরের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও প্রমাণের ক্ষেত্রে এটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ফলে অভিযুক্তের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পদগুলো আদালতের মাধ্যমে ক্রোক করা একান্ত আবশ্যক।
গত ১০ মার্চ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নুর স্ত্রী শারমীন আরা জেসমিনের ৩৪ দশমিক ৩৯ বিঘা জমি ক্রোক ও ছয়টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৫ লাখ ৮২ হাজার ২২৯ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ জুলাই মেডিকেল ও ডেন্টালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে চক্রের প্রধান জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ওরফে মুন্নুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আব্দুস সালাম খান ও তাঁর খালাতো ভাই জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নু নিজেদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে অর্থাৎ পারিবারিক চক্রের মাধ্যমে ফাঁস করা প্রশ্ন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতেন।