Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

‘বাঁধ না ভাঙা পর্যন্ত পাউবো গুরুত্ব দেয় না’

খুলনা প্রতিনিধি

‘বাঁধ না ভাঙা পর্যন্ত পাউবো গুরুত্ব দেয় না’

‘বাঁধ না ভাঙা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গুরুত্ব দেয় না। তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে আমরা বারবার পানিবন্দী হই। জোয়ারের পানি ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকমতো দেয় না। তাদের গাফিলতিতে আজও পানি আটকানো সম্ভব হয়নি।’ কথাগুলো বলছিলেন খুলনার কয়রা উপজেলার দশালিয়া গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন।

২৬ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব ও জলোচ্ছ্বাসে এখানে কপোতাক্ষ নদের প্রায় আধা কিলোমিটার জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু হয়। তাৎক্ষণিক স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এলাকাবাসী বাঁধের ওপর বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দুপুরের জোয়ারে শেষ রক্ষা হয়নি। নদের দুটি স্থানের প্রায় ৭০ মিটার বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বুধবার ভোর থেকে পাউবোর সহায়তায় পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা ফের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ওই দিন বেলা দেড়টা পর্যন্ত চেষ্টা করে দুটি পয়েন্টে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর ব্যবস্থা করতে সক্ষম হন তাঁরা। সেখানে অর্ধশতাধিক পরিবার এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। তাঁরা জোয়ারের সময় খাটের ওপর অথবা বাঁধের ওপর বসে থাকছেন। অনেকের ঘর নষ্ট হয়ে গেছে। 

পানির নিচে তলিয়ে গেছে খুলনা পাইকগাছা উপজেলার প্রায় ১৪ গ্রামতেলিখালী গ্রামের দেবাশীষ গাইন ও নজরুল মোড়ল জানান, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তাঁদের এলাকার ৯০ শতাংশ মাটির ঘর ধসে গেছে। অধিকাংশ পরিবার এখনো খোলা আকাশের নিচে বাঁধের ওপর জবুথবুভাবে বসবাস করছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধে পরিদর্শন করেন।

তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় অঞ্চলে ১৩৯টি পোল্ডার রয়েছে। যে পোল্ডারগুলো ষাটের দশকে তৈরি হওয়ার কারণে বর্তমানে খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি পোল্ডারকে মজবুত করা হয়েছে। এ ছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে আরও ২০টি পোল্ডারের কাজ করা হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে বাকি পোল্ডারগুলোর বাঁধ শক্তিশালী করে উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষকে রক্ষা করা হবে।’ 

পানির নিচে তলিয়ে গেছে খুলনা পাইকগাছা উপজেলার প্রায় ১৪ গ্রামএ বিষয়ে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জনগণের সঙ্গে থেকে সার্বক্ষণিক বাঁধের তদারকি করছি। বাঁধ নির্মাণের সব সরঞ্জামাদি আমরা সরবরাহ করছি। শ্রমিকের মজুরিও পরিশোধ করা হবে।’

নানা সংকটে জর্জরিত মুরগি উন্নয়ন খামার

ফুটবলার থেকে চরমপন্থী নেতা

‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে ব্যবসায়ীকে হত্যা: সাতক্ষীরার সাবেক এসপিসহ ৭ জনের নামে মামলা

ননদ-ভাবির দ্বন্দ্বে ক্লিনিকে তালা

ইবিতে জিয়া পরিষদের নেতৃত্বে ফারুকুজ্জামান ও রফিকুল

খুলনা মহানগর বিএনপির কাউন্সিল: সভাপতি মনা, সম্পাদক তুহিন

নামডাকওয়ালা ফুটবলার থেকে হানিফের চরমপন্থী নেতা হয়ে ওঠা

ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার: ৩ দিন পর থানায় মামলা, আসামি অজ্ঞাত

বিএনপির দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে: তারেক রহমান

কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১