খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর প্রয়াত শেখ কালাম হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নগদ ৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর রায়ের মহলের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, মুখোশধারী ১৪-১৫ জনের ডাকাতদল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে নিচতলা ও পরে দ্বিতীয় তলার কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় কাউন্সিলরের দুই ছেলেকে গামছা দিয়ে হাত পিঠমোড়া বেঁধে একটি ঘরে আটকে রাখে। চিৎকার করলে সবাইকে জবাই করে হত্যা করা হবে বলে ডাকাতদল হুমকি দেয়। পরে সাবেক কাউন্সিলরের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি ঘরের আলমারি ও লকার ভেঙে নগদ ৫ লাখ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে বাড়ির পেছনের দ্বিতীয় তলার বারান্দার গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়।
কাউন্সিলরের ছোট ছেলে শেখ সাহিল হোসেন বলেন, ‘আমি রাত দেড়টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লে পৌনে চারটায় শব্দ শুনতে পেয়ে পাশের বাড়ির বড় ভাইকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া মাত্রই আমার মা আমাকে দরজা খুলতে বলেন। দরজা খুললে মুখে কালো কাপড় বাঁধা ডাকাত দল ছুরি দেখিয়ে বলে চিৎকার করলে শেষ। তারা আমার ঘরে ঢুকে আলমারি ও লকার ভাঙে মূল্যবান সবকিছু নিয়ে যায়। তারা আমাকে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর আমি কিছু জানি না।’
প্রয়াত শেখ কালাম হোসেনের স্ত্রী হেলেনা কামাল বলেন, ‘ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার আলমিরা এবং বড় ছেলে সেতুর আলমীরা থেকে ৫ লাখ টাকা নগদ এবং প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।’
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ছাড়া ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। এটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার পাশাপাশি মামলার প্রক্রিয়াও চলছে।’
ওসি বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা দাবি করেছে, ডাকাত দল নগদ ৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালে এই বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।