Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > খুলনা

অবরোধে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিপাকে শৈলকুপার সবজিচাষিরা

শাহীন আক্তার পলাশ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) 

অবরোধে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিপাকে শৈলকুপার সবজিচাষিরা

অবরোধে ঝিনাইদহের শৈলকুপার চাষিরা শীতকালীন সবজির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। সবজি নিয়ে বাজারে এলে ব্যাপারীরা ঠিকমতো দাম দিচ্ছেন না, যার ফলে লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। সময়মতো বেচতে না পারায় খেতেই সবজি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। 

চলমান অবরোধে সারা দেশের চাষিদের মতো সবজির জন্য বিখ্যাত শেখপাড়া, মদনডাঙ্গা, চড়াইবিল, ভাটই বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সবজিচাষিদের কপালেও পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। কৃষকেরা বলছেন, হাটে ক্রেতা ও ব্যাপারী পর্যাপ্ত না থাকায় অর্ধেকেরও কম দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ব্যাপারীরা বলছেন, অবরোধের কারণে পরিবহনের সংকট চরমে। তাই পর্যাপ্ত সবজি কিনে মোকামে নিতে পারছেন না, যার জন্য স্থানীয় বাজারে দাম কিছুটা কম।

উপজেলার শেখপাড়া ও মদনডাঙ্গা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাধারণত যতসংখ্যক পাইকার হাটে আসতেন, অবরোধের কারণে এর চেয়ে কম পাইকার চোখে পড়ে। বাজারে পাইকার কম ও সবজির জোগান বেশি থাকায় দাম কম পাচ্ছেন চাষিরা। পাইকাররা তাঁদের ইচ্ছামতো সবজি কিনছেন। বাজারে কাঁচা মরিচ, মুলা, কপি, বেগুন, কলা, লাউ, শিম প্রভৃতি সবজি কিনে বস্তাবন্দী করতে দেখা যায় পাইকারদের। অবরোধের কারণে সবজি বহন করার জন্য পিকআপ, ট্রাকের সংখ্যাও কম চোখে পড়ে। আবার কিছু দেখা গেলেও পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে বলে জানান পাইকারা।

প্রকারভেদে বেগুন প্রতিমণ ৫০০-৬০০ টাকা, কপি ৭০০-৮০০ টাকা, মুলা ৩০০-৪০০ টাকা, শিম ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় সবজি বিক্রেতা কৃষকদের মুখে চিন্তার ভাঁজ।

বসন্তপুর গ্রামের কৃষক আক্কাচ আলী বলেন, ‘১০ মণ বেগুন ও ৫ মণ ফুলকপি নিয়ে বাজারে এসেছি। বেগুন ৬০০ টাকা ও কপি ৮০০ টাকা মণ বিক্রি করলাম। অবরোধের কারণে সবজির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। পাইকাররা ইচ্ছামতো দাম বলছেন। সেই দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। জ্বালানি তেল, সারসহ কৃষি উপকরণের বাড়তি মূল্য, সেই সঙ্গে লাগাতার অবরোধের কারণে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।’

শেখপাড়া বাজারে বিক্রির জন্য আনা বেগুনমদনডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ছানা উদ্দিন বলেন, ‘সবজি চাষে মহাজনদের কাছ থেকে আনা সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচের জন্য জ্বালানি তেলের টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। অবরোধের কারণে শাকসবজি পরিবহনে ট্রাক-পিকআপের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে আমাদের সবজিতে, ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা সবজিতে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না।’

খুলনা থেকে আসা রবিউল ইসলাম নামে এক পাইকার বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক রয়েছে। পরিবহন চলাচল কম এবং ভাড়াও বেশি, যার ফলে বেশি সবজি কিনছি না। চাষিদের কাছ থেকে কিছুটা কম দামে সবজি কিনলেও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমরা তেমন লাভের মুখ দেখছি না।’

শেখপাড়া বাজার মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম খান বলেন, অবরোধের প্রথম দিনে হাটে সবজির দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এখন কেনা সবজি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট মোকামে পাঠাতে ট্রাকের ভাড়াও ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা বেড়েছে। আবার অনেকেই অবরোধের কারণে ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহন করতে চাইছেন না, যার ফলে বাজারে সবজির দাম কম।

শৈলকুপা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, ‘আমাদের এই উপজেলায় অধিক পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়। এখান থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে সবজি যায়। অবরোধের কারণে বাইরে ঠিকমতো সবজি যাচ্ছে না বলে আপাতত দাম কিছুটা কম। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আশা করি কৃষকেরা সবজির ন্যায্যমূল্য পাবেন।’

ক্যাম্পাসে ফিরলেন কুয়েট উপাচার্য, বাসভবনে আবারও তালা দেওয়ার চেষ্টা

জিয়ারত করতে গিয়ে দেখা যায় কবরে লাশ নেই, পাশের কবরও খোঁড়া

ইবির শিক্ষার্থীবাহী বাস উল্টে ধানখেতে, আহত ২৫

ঝিনাইদহে ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

নানা সংকটে জর্জরিত মুরগি উন্নয়ন খামার

ফুটবলার থেকে চরমপন্থী নেতা

‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে ব্যবসায়ীকে হত্যা: সাতক্ষীরার সাবেক এসপিসহ ৭ জনের নামে মামলা

ননদ-ভাবির দ্বন্দ্বে ক্লিনিকে তালা

ইবিতে জিয়া পরিষদের নেতৃত্বে ফারুকুজ্জামান ও রফিকুল

খুলনা মহানগর বিএনপির কাউন্সিল: সভাপতি মনা, সম্পাদক তুহিন